• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পত্রিকার খবর দেখে ঘাবড়ানোর দরকার নেই সরকারি কর্মকর্তাদের

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ০১:৫৯ এএম

পত্রিকার খবর দেখে ঘাবড়ানোর দরকার নেই সরকারি কর্মকর্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পত্রিকায় কী লিখছে- তা দেখে না ঘাবড়াতে সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

‘বাংলাদেশের কিছু পত্রিকা এক দিন ভালো লিখলে পরের ৭ দিন খারাপ লিখবে। ওই পত্রিকা দেখে ঘাবড়ানোর কোনো দরকার নেই। আর পত্রিকা পড়েও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার নেই। সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশের কথা চিন্তা করে। দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে।’

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) নির্বাহী কমিটি-একনেক সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ওই বৈঠকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘অনেক সময় পত্রিকা পড়ে আপনারা অনেকে ঘাবড়ান। এই পত্রিকা এই সমালোচনা করেছে। বাংলাদেশের কিছু পত্রিকা আছে, তারা সব কিছুতে এক দিন ভালো লিখলে পরের ৭ দিন লিখবে খারাপ। এটা তাদের চরিত্র। আমি চিনি সবাইকে।’

নিজে পত্রিকা পড়ে সিদ্ধান্ত নেন না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হাইস্কুল থেকে তো রাজনীতি করি। সবাইকে আমার চেনা আছে। সব পরিবারকেও চেনা আছে। পত্রিকা পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার নেই। আমি সেভাবে চলি। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছি বলে আজকে দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে। আমি যদি ভয়ে ভয়ে থাকতাম, ও কী লিখলো, ও কী বললো, ও কী করলো; তাহলে কোনো কাজ করতে পারতাম না। নিজের বিশ্বাস হারাতাম।’

কর্মকর্তাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘অনেক সময় আপনাদের অনেকের মুখে শুনি, এই পত্রিকা লিখেছে, ওই পত্রিকা লিখছে। ওটা নিয়ে চিন্তাও করবেন না। নিজের আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলবেন। সেটা আমি চাই। তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।’

কাজের ব্যস্ততার মাঝেও এক দিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টক শো দেখার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কেউ দেখলাম, ইদানীং একটা কথা খুব বেশি প্রচার করার চেষ্টা করছে। এটা হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তারা টাকার অঙ্ক দিয়ে দেখাতে চাচ্ছেন যে, এত টাকা খরচ করার দরকারটা কী ছিল। আমি শুধু এটুকু বলবো, আমরা যখন সরকার গঠন করে রেন্টে পাওয়ারপ্ল্যান্ট এনে কাজ শুরু করলাম, তখনও এরা বলছেন, এটার দরকারটা কী ছিল। এতে নাকি ভীষণ দুর্নীতি হচ্ছে। আর আজকে আমরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরিতে কাজ করছি, যেটা সব থেকে বেশি পরিবেশবান্ধব, কোনো পলিউশান নেই। এটা আনাতে খরচ বেশি, কিন্তু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। আর তাছাড়া আমরা তো এটা একটি দেশের সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ নিয়ে করেছি। সেখানে আমাদের টাকার অঙ্ক কম। আমরা টাকা পেয়েছি এবং সেটা আমাদের শোধ দিতে হবে ৫০ বছরে।’

ডা/


আর্কাইভ