সিটি নিউজ ডেস্ক
কিছু দুষ্ট লোক চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে চায়নানির্ভর প্রমাণ করা; যাতে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট হয়।’ এ সময় বাংলাদেশের মোট ঋণের মাত্র পাঁচ শতাংশ চীন থেকে গ্রহণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সিলেটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ঋণ গ্রহণে বাংলাদেশ খুবই হিসাবি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম ঋণ গ্রহণ করে থাকে। জিডিপির মাত্র ১৫-১৬ শতাংশ আমরা ঋণের ওপর নির্ভরশীল।’
তিনি বলেন, ‘শতকরা ৫ শতাংশ চাইনিজ ঋণ নেওয়া হয়। দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি জাপান থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এসব সংস্থা থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হয়।’
শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ও এর সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশকে একই পাল্লায় তুলনা করা যায় না। কিছু দুষ্ট লোক এই প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। শ্রীলঙ্কা কেবল পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল দেশ ছিল। আমাদের রফতানি আয় ও রেমিটেন্সের ধারে-কাছেও তাদের অবস্থান নেই। তাদের চেয়ে আমাদের সক্ষমতাও বেশি।’
তিনি আরও বলেন, এ বছর আমার দেশে ৪৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হয়েছে। করোনার সময় ২৫ বিলিয়ন রেমিটেন্স এসেছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের তুলনা করা ঠিক না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার একাধিক সুখবর নিয়ে সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের তারিখও চূড়ান্ত হতে পারে এ সফরে। র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতসহ বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর কিছু ভালো খবর নিয়ে আসবেন বলে আশা করছি।’
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জেনেছি তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ জানাতে আসছেন। সফরকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে তিস্তা, কুশিয়ারা নদীর পানি ইস্যু, ভবিষ্যৎ সহযোগিতা, বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা নেওয়া হবে। আগামীকাল এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তারা আমাদের সহযোগিতা করতে পারে। অথবা কিভাবে কী করলে এর সমাধান হবে তা বলে দেবে।’
সাজেদ/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন