প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২১, ০২:৫৭ এএম
ফাইজারের
টিকা প্রয়োগের আগে এর সঙ্গে ‘ডাইলুয়েন্ট’
নামক একটি মিশ্রণ যোগ
করতে হবে। এ মিশ্রণের যোগের পরই দেশে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা হবে।
বুধবার (২ জুন) দুপুরে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ৭ জুন ডাইলুয়েন্ট মিশ্রণ দেশে আসবে। সেটি ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ প্রয়োগের আগেই মেশাতে হবে।
অধিদফতরটি জানিয়েছে, এক ভায়াল টিকার সঙ্গে ডাইলুয়েন্ট মেশানোর পর মোট ছয় ডোজ টিকা তৈরি হবে। ডাইলুয়েন্ট মেশানোর আগে টিকার ভায়াল স্বাভাবিক কক্ষ তাপমাত্রায় ১০-১৫ মিনিট রাখতে হবে। মিশ্রিত দ্রবণকে আর জমতে দেয়া যাবে না। কক্ষের বাতি, সূর্যের আলো ও আলট্রা ভায়োলেট আলো থেকে দূরে রাখতে হবে।
এমআরএনএভিত্তিক এ টিকা জীবাণুমুক্ত রেখে সংমিশ্রণের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। টিকা আলট্রা কোল্ড ফ্রিজার থেকে বের করার পর ৬ ঘণ্টার মধ্যে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রেখেই গলিয়ে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। দশমিক ৬ লিটারের চারটি আইসপ্যাকসহ টিকা বহনকারী বাক্সে করে এসব টিকা কেন্দ্রে নেয়া হবে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাইজারের টিকা শুধু রাজধানীতে দেওয়া হবে। যারা নিবন্ধন করেছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকা দেওয়া হবে। এ তালিকায় শিক্ষার্থী থাকলে তাদেরও অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ফাইজার টিকা কার্যক্রম কত তারিখ থেকে শুরু হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। কবে থেকে শুরু হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। সব কাজ শেষ হলে এ বিষয়ে জানিয়ে দিতে পারব।
বিশেষজ্ঞরা বলন, ব্যবস্থাপনা ও ডোজ তৈরির জন্য টিকার সঙ্গে অন্য একটি দ্রবণের মিশ্রণের জটিলতায় টিকা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ডোজ প্রস্তুতে সময় ও পরিমাণে সামান্য হেরফের হলেই নষ্ট হতে পারে টিকা।
সোমবার (৩১ মে) রাতে ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা ঢাকায় এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফাইজারের টিকা তাপ ও আলোর প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। এ টিকা কোনোভাবেই আলো ও তাপের সংস্পর্শে রাখা যাবে না। তাই রাজধানীর চারটি কেন্দ্রেই দেওয়া হবে এ টিকা।কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।
ফাইজারের করোনা টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এ তাপমাত্রার সংরক্ষণ পাত্র দেশে খুব কম আছে। ইপিআইয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ), রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এ টিকা রাখার মতো উপযুক্ত পাত্র আছে।
বিআর /৩জুন /২০২১