• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

তরুণীকে গণধর্ষণ: বেঙ্গালুরুতে আরেক অভিযুক্ত পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২১, ০২:৩৫ এএম

তরুণীকে গণধর্ষণ: বেঙ্গালুরুতে আরেক অভিযুক্ত পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের বেঙ্গালুরুতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। অবশেষে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে। বুধবার (২জুন) তাকে গ্রেফতার করতে গেলে সে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।

এ ঘটনায় অপর দুই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টাকালে সিটি পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার কয়েক দিন পর এ ঘটনা ঘটল। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপনে খবর পেয়ে বুধবার সকালে বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে যায়। এ সময় পুলিশ দেখে সে ছুরি নিয়ে তাদের আক্রমণ করে এবং পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়ে তাকে ধরে ফেলে।

হামলায় পুলিশের একজন কনস্টেবলের গুরুতর আহত হন। তাকে ও গ্রেফতার অভিযুক্তকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কয়েকজন মিলে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হলে বাংলাদেশ ও ভারতে তৈরি হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে। প্রথমে আসাম পুলিশ নির্যাতনকারীদের ছবি টুইট করে তাদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ প্রথমে ছয়জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে তাদের দু'জন আহত হন।

নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা ঢাকার রাস্তায় ডাব বিক্রি করেন। তার মেয়ে কিভাবে এখন ভারতে তা তিনি জানেন না। বছরখানেক থেকে মেয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বলে জনিয়েছেন।

এদিকে বেঙ্গালুরু পুলিশ বলছে, ওই তরুণীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পাঠানো হয়েছিল, সেখানে তাকে দেহ ব্যবসায়ে ঠেলে দেওয়া হয়। প্রায় এক বছর হোটেলে নর্তকির কাজও করেন। কেরালা থেকে যারা মেয়েটিকে উদ্ধার করেন তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বেঙ্গালুরু পুলিশ আরও জানায়, আমিরাত থেকে কয়েক মাস আগে দূর সম্পর্কের আত্মীয় মোহাম্মদ বাবা শেখ মেয়েটিকে ভারতে এনে পতিতিবৃত্তিতে বাধ্য করেন। বাবা শেখ ভুক্তভোগী মেয়েটির এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়কে বিয়ে করেছেন। নির্যাতনের ঘটনায় বাবা শেখের স্ত্রীও গ্রেফতার হয়েছেন। এই বাবা শেখ ও তার  সহযোগীরা বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের ভারতে বিউটি পার্লারে বা গৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা ও কেরালায় নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে আসছিলেন। ভুক্তভোগী তরুণীকে ফাঁদে ফেলে এই দলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। - খবর এনডিটিভির

আরআই/৩জুন/২০২১

আর্কাইভ