প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২২, ০২:৫০ এএম
স্বজনের
সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে চান লাখো মানুষ। সে লক্ষ্যে ঘন্টার পর
ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরছেন টিকিট প্রত্যাশিরা। অনলাইনের অবস্থা
আরও করুন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে জানানো হলো অনলাইনে এক মিনিটে বিক্রি হয়েছে ১৩
হাজার টিকিট।
সেখানে দেখানো হয় সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ৮টা ১ মিনিটে সব টিকিট শেষ হয়। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলছেন, এক মিনিটে ১৮ লাখ হিট পড়েছে। এ এক মিনিটে ১৩ হাজার যাত্রী টিকিট কিনে কিনে নিয়েছেন।
তবে মাসুদ সারওয়ারের এ বক্তব্য প্রত্যাখান করে ভুক্তোভোগী টিকিট প্রত্যাশীরা বলছেন, এ যুক্তি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আসলে অনলাইনে টিকিট কারসাজি করে রাখা হয়। যেটা কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
মাসুদ সারওয়ার বলছেন, ‘ট্রেনের ই-টিকিট দেখভাল করা প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আজ ১৫ থেকে ১৮ লাখ মানুষ একসঙ্গে অনলাইনে প্রবেশ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘টিকিট বিক্রি শুরুর পর থেকেই অনলাইনে ভোগান্তি ও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ। গতকাল ওরা (সহজ ডটকম) ব্রিফ করেছে। আজ আমি নিজে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ ১৫-১৮ লাখ টিকিট প্রত্যাশীরা এক সময়ে অনলাইনে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে ১৭ লাখ ৮৭ হাজার টিকিট প্রত্যাশী টিকিট পাননি।
টিকিট প্রত্যাশিদের অভিযোগ, রেলের কর্তাব্যক্তিরা টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। কারণ কাউন্টারে সব টিকিট দেওয়া হয় না। বিশেষ করে এসি টিকিট চাইলে বলা হয় শেষ হয়ে গেছে। অথচ কালোবাজারে ঈদযাত্রার আগ পর্যন্ত বেশি দামে ঠিক টিকিট পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলছেন, রেলের কর্মীদের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। কারণ যার টিকিট তাকে এনআইডি নম্বর দিয়ে কাটতে হচ্ছে। কাজে এখানে কালোবাজারির সুযোগ কই?
আজ কমলাপুর কাউন্টারে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দুইবার টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ২৪ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা টিকিট প্রত্যাশীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। ৫০ শতাংশ টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে আর বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে।
জেডআই/