প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২২, ০৩:০৫ পিএম
আজ
শুক্রবার (১৮ মার্চ) পবিত্র
শবেবরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ দিবাগত রাতে
মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল
ইবাদত-বন্দেগির’ মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত পালন
করবেন।
হিজরি
বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত
রাত সৌভাগ্যের রজনি শবেবরাতকে আরবিতে
বলা হয় 'লাইলাতুল বরাত'। মহিমান্বিত এ
রাতে মহান রাব্বুল আলামিন
তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
আরবি
শব্দ লাইলা অর্থ রাত। অন্যদিকে ফার্সি শব্দ শব অর্থও
রাত। আর বরাত অর্থ
মুক্তি বা নিষ্কৃতি। শাবান
মাসের এ রাতকে মুক্তির
রাত বা নাজাতের রাত
হিসেবে অবহিত করা হয়। শবেবরাত এবং এই রাতে
ইবাদত বন্দেগি করা নির্ভরযোগ্য হাদিস
দ্বারা প্রমাণিত। তাই রাসুল (সা.)
ও সাহাবি এবং তাবেইনের যুগ
থেকে অদ্যাবধি এ রাতে বিশেষভাবে
নফল ইবাদত ধারাবাহিকতার সঙ্গে চলে আসছে।
এই
রজনিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ
লাভের আশায় নফল নামাজ,
কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। অনেকে
রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন।
অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, ভবিষ্যৎ
জীবনের কল্যাণ কামনার জন্য মুসলমানরা মোনাজাতে
অংশ নেবেন । এ ছাড়া অনেকেই
এ রাতে মা-বাবাসহ
আত্মীয়দের কবর জিয়ারত ও
দোয়া করেন।
শবেবরাত উপলক্ষে আজ বাদ মাগরিব
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে বিশেষ ওয়াজ মাহফিল ও
জিকির-আসকার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো
এবারও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদে রাতে ওয়াজ মাহফিল
ও দোয়ার আয়োজন করেছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শবেবরাত সবার জন্য ক্ষমা,
বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে
আনবে বলে আশা প্রকাশ
করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
শবেবরাতের পবিত্রতা রক্ষায় রাজধানীতে বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ও অন্যান্য ক্ষতিকারক দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিআইএ/এফএ