• ঢাকা শনিবার
    ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

হেফাজতের সর্বোচ্চ আয়ের উৎস প্রবাসী অনুদান

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২১, ০৬:২৯ পিএম

হেফাজতের সর্বোচ্চ আয়ের উৎস প্রবাসী অনুদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবে এক বছরে ৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি। প্রবাসীদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অনুদান পেয়েছে সংগঠনটি, তবে খরচে কোন স্বচ্ছতা নেই বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। রবিবার দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে হেফাজতের যেসব নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। অতি সম্প্রতি আমরা হেফাজত নেতা মনির হোসেন কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছি। তা ছাড়া মামুনুল হকের ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য আমরা পেয়েছি। 

পুলিশ বলছে, রোহিঙ্গারা প্রায় সবাই মুসলমান হওয়ায় ধর্মীয় আবেগ কাজে লাগান হেফাজত নেতারা। বিপাকে পড়া 'মুসলমানদের' জন্য এই সংগঠনটির কাছে সহায়তা আসতে থাকে নানা দেশ থেকে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, এই অর্থ মাদ্রাসার উন্নয়ন, রোহিঙ্গাদের সহায়তা ও হেফাজতের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তার কাছে এসেছিল। কিন্তু এসব অর্থ খরচের কোনো স্বচ্ছতা পাওয়া যায়নি। সব টাকা তার কাছে একসঙ্গে রাখা ছিল। নানান সময়ে বিভিন্ন সহযোগিতার নামে হেফাজত নেতাদের কাছে আসা এসব অর্থের একটি অংশ তারা নিজেদের পার্সেন্টেজ হিসেবে রেখে দিতেন।

প্রবাসীরা এসব টাকা হেফাজত নেতাদের কাছে দানের উদ্দেশ্যে পাঠাতেন বলে জানান মাহবুব আলম। তিনি বলেন, এসব ফান্ড তারা মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য খুব একটা ব্যবহার করতেন না। এ অর্থ দিয়ে হেফাজতের কয়েকজন নেতা তাদের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন।

মাহবুব আলম বলেন, হায়াতুল উলিয়া ও বেফাকের শীর্ষস্থানীয় ও কওমী অঙ্গনের কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রেও একই অস্বচ্ছ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা গেছে। আমরা মনে করি, এসব ক্ষেত্রে সরকারের আরও নজরদারি দরকার। আমাদের দেশে অনেক ভালো ও জ্ঞানী আলেম আছেন। যারা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ইসলামকে ব্যবহার করছেন, তাদের ভয়ে ভালো আলেমরা দূরে থাকছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া অন্য হেফাজত নেতারা এখনও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলেও এতে মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে নিশ্চিত করেছেন মাহবুব আলম। তিনি বলেন, আমরা অভিযোগের সত্যতার জন্য যে সকল প্রমাণ পাচ্ছি, সেগুলোই তাদের অপরাধ প্রমাণ করবে। তারা সেসব স্বীকার করুন আর নাই করুন, এতে মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা নানা অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট, ব্যাংক হিসাব প্রমাণ হিসেবে দেখাব।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ