• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

রাজধানীতে ভুয়া মুফতি-হাফেজ গ্রেফতার

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২২, ০৯:৩২ পিএম

রাজধানীতে ভুয়া মুফতি-হাফেজ গ্রেফতার

সিটি নিউজ ডেস্ক

ভুয়া মুফতি ও হাফেজ পরিচয় দিতেন তারা। ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণার জাল ফাঁদতেন। এভাবে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতেন তারা। এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন এ তথ্য জানান।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন আব্দুল মান্নান শেখ (৪২), কামরুল ওরফে কামরুজ্জামান (৩৪), আসাদুল্লাহ আল গালিব (২৬), আমিনুর রহমান (৩৯) ও শওকত আলী খান সাগর (৪৩)।

ইমাম হোসেন বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের ঢাকা শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। তারা নামের সঙ্গে মুফতি ও হাফেজ টাইটেল ব্যবহার করতেন। তারা বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের কাছে এ পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। নিজেকে মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেম পরিচয়ে তারা বলতেন, আমার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। বিল বকেয়া থাকায় টাকার অভাবে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিতে পারছি না। এভাবে মোটা অঙ্কের টাকা সাহায্য চাইতেন।

সিআইডির এক নারী কর্মকর্তাকে মোবাইলে কল দিয়ে মুফতি ও হাফেজ পরিচয় দেন প্রতারকচক্রের একজন। ফোনে জানান, তিনি ঢাকার একটি মসজিদের ইমাম। তার স্ত্রী হাসপাতালে অনেকদিন ভর্তি ছিলেন। দুরারোগ্য ক্যান্সারে মারা গেছেন। হাসপাতালের বিল বকেয়া থাকায় স্ত্রীকে দাফন করতে পারছেন না। এজন্য তার ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এভাবে রাজধানীর বিভিন্ন টার্গেট ব্যক্তির নাম ঠিকানা ও পদবি জেনে তারপর বড় মসজিদের ইমাম পরিচয় দিয়ে ফোন দিতেন। চক্রটি জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিতো।

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বিষয়ে সিআইডিতে অভিযোগ করলে অনুসন্ধানে নামে সিআইডি। অনুসন্ধানে নেমে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানা ও তুরাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতা আব্দুল মান্নান শেখসহ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। চক্রটি ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করত।

গ্রেফতার প্রতারক চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্লাব ও অ্যাসোসিয়েশন মেম্বারদের নাম-ঠিকানা, ব্যক্তিগত তথ্যসহ মোবাইল নম্বর সম্বলিত ডিরেক্টরি উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, ঢাকা গলফ ক্লাব, চিটাগাং বোট ক্লাব, বারিধারা কসমোপলিটন ক্লাব, মহাখালী ডিওএইচএস কাউন্সিল ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মেম্বারদেরসহ মোট ৩৫টি ডিরেক্টরি উদ্ধার করা হয়েছে।

ডা/এফএ

আর্কাইভ