প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২২, ০৯:১৪ পিএম
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকাল থেকেই
রাজধানীজুড়ে ছিল যানজট। যদিও অফিস টাইমে রাজধানীজুড়ে যানজটের চিত্র প্রতিদিনের। এরই
ধারাবাহিকতায় আজও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। অন্যদিকে যাত্রীদের
অভিযোগ, অফিস টাইমে গণপরিবহনের সংকট থাকে শহরজুড়ে। এদিকে জ্যামের তীব্রতায় ঠিক সময়ে
অফিসে পৌঁছতে পারছেন না সাধারণ চাকরিজীবীরা।
বৃহস্পতিবার
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে। বিশেষ করে আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর
সড়ক, খিলক্ষেত, বনানী, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, মিরপুর রোড, আগারগাঁও,
মিরপুর, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, প্রগতি সরণিতে যানজট তুলনামূলক বেশি বলে জানা গেছে।
মিরপুর
১ থেকে মিরপুর ১০, আগারগাঁও হয়ে বিজয় সরণি, মহাখালী, বনানী-এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে গুলশানে
অফিসে এসেছেন শাহ আলম ডাকুয়া। এই পথটুকু অতিক্রম করতে শহরজুড়ে তীব্র যানজটে পড়েছেন
তিনি। তার অভিযোগ, মোটরসাইকেলও ঢাকা শহরের এই তীব্র যানজট থেকে রেহাই পায়নি।
প্রতিটি সিগন্যাল পার হতে লেগেছে দীর্ঘ সময়।
শাহ আলম বলেন, ‘আজ দেরিতে অফিসে ঢুকতে হচ্ছে। বেশি সময় জ্যামে থাকায় শরীরে প্রভাব
পড়ে। এতে অফিসের কাজে মন দিতে সমস্যায় পড়তে হয়।’
একই
অভিযোগ আব্দুল্লাহপুর থেকে কালশী হয়ে বনানী আসা বলাকা বাসের যাত্রী ফাইজুল ইসলাম জনির। তার অভিযোগ, তীব্র যানজট থাকায় দু-তিন ধরে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঠিক
সময়ে অফিস যেতে পারছি না। এ ছাড়া গাদাগাদি করে যাত্রী তুলে নেওয়া হচ্ছে। এর মাঝে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকাটা একটা বিড়ম্বনা।
উত্তরা
থেকে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত আসা রাইদা বাসের চালক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘যাত্রী নিয়ে পুরো
সড়ক পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। প্রতিদিন সকালে অফিস টাইমে যানজট হয়। গতকাল খুব বেশি
যানজট ছিল। আজও তেমনভাবেই যানজট শুরু হয়েছে। যানজট হলে আমাদের ট্রিপ কমে যায়, মালিককে
জমা খরচ দিয়ে আমাদের কিছুই থাকে না। চারদিক থেকে লস আমাদের।’
যানজট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাফিক অ্যালার্ট নামের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রুপে আল আমীন ইউসুফ লিখেছেন, বর্তমানে ঢাকা শহর চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আমার মনে হয় সব স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির টাইম এবং অফিস টাইম চেঞ্জ করা প্রয়োজন। সব স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির টাইম সকাল ৮টা থেকে এবং সব অফিস টাইম ১০টা থেকে করা হোক।
ডিআইএ/এফএ