• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মামলার আসামি যখন প্রকাশ্যে!

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২১, ০১:৪৫ এএম

মামলার আসামি যখন প্রকাশ্যে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। এ মামলার পর থেকেই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এমডির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বিদেশ চলে গেছেন বলেও গুঞ্জন উঠে। তবে সব জল্পনা কল্পনা শেষ করে সবার সামনে আসলেন সায়েম সোবহান আনভীর।

শনিবার (২৯ মে) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর সেখানেই দেখা মিলল আনভীরের।

ক্লাবটির পরিচালনা পর্ষদের এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পুনরায় পরিচালকের দায়িত্বে বসেছেন আনভীর। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আলোচিত এই ব্যক্তি। যা নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন নিউজ ২৪, কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনগুলোতে আনভীরের ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি ছাই রঙা টুপি, কালো সানগ্লাস, কালো মাস্ক, কালো টি-শার্ট ও গাড় নীল প্যান্ট পরিহিত ছিলেন। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমগুলোতে আনভীরের বক্তব্যও প্রকাশিত হয়েছে।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন। ওই মামলার একমাত্র আসামি করা হয় সায়েম সোবহান আনভীরকে।

ওই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুনিয়া ও আনভীরের কথোপকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। ওই বাসায় আনভীরের যাতায়াত ছিল বলে জানায় পুলিশ।

মামলার পর থেকেই আনভীরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি তিনি বিদেশে চলে গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আনভীরের দেশত্যাগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। সবশেষে পুলিশ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আনভীর দেশ ত্যাগ করেনি বলে নিশ্চিত করে।

মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গত ২৭ এপ্রিল সায়েম সোবহানের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগাম জামিনের আবেদন করেন আনভীরের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তবে সেই জামিন শুনানি স্থগিত করে আদালত।

আদালতের নিষেধাজ্ঞার দুদিন পর অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল চার্টার্ড ফ্লাইটে করে আনভীরের স্ত্রী ও দুই সন্তান দুবাই যান। ওই ফ্লাইটে বসুন্ধরার এমডির ছোট ভাই, তার স্ত্রী, তাদের মেয়ে ও তিনজন গৃহকর্মীও দেশ ছাড়েন।

এ দিকে আলোচিত এই মামলায় আনভীরকে গ্রেফতারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এ ছাড়া আনভীরের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

এএএম

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ