প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২, ০২:০৬ এএম
অনেক জল্পনা-কল্পনার
অবসান ঘটিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নতুন
সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল
আউয়াল। আগামী পাঁচ বছরের জন্য
সিইসির দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড় শুরু হওয়ার পর
থেকেই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন হাবিবুল আউয়াল। তবে, এই কাজী
হাবিবুল আউয়াল অনেকের কাছে পরিচিত নন।
১৯৫৬
সালের ২১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ
করেন কাজী হাবিবুর আউয়াল।
১৯৭৬ সালে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স)
ও ১৯৭৮ সালে এলএলএম
ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে
সনদ পান ১৯৮০ সালে।
বিসিএস
১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কর্মজীবন
শুরু করেন জেলা মুনসেফ
হিসেবে। সবশেষ তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে
ছিলেন। বিচার বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুল আউয়াল আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ
ও সংসদবিষয়ক বিভাগে সুপারনিউমারারি (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব ছিলেন। সেখান
থেকে তাকে রাষ্ট্রপতির ১০
শতাংশ কোটায় প্রথমে ধর্মসচিব এবং পরে প্রতিরক্ষা সচিব
হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে
২০১৪ সালের ১৮ জুন তার
চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায়
সরকার।
হাবিবুল
আউয়ালের ২০১৫ সালের ১৭
জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু
২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পিআরএল
বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে এক
বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে
সেই চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর
বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে
অবসরে যান তিনি।
এর
আগে, সার্চ কমিটির কাছ থেকে বিভিন্ন
রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি
পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন
কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়।
আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল
নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। সার্চ
কমিটির কাছে মোট ৩২২
জনের নাম জমা পড়ে।
এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক
করে ১০ জনের নাম
চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির
সঙ্গে দেখা করে ১০
জনের এ তালিকা জমা
দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
এর পর
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশের
ত্রয়োদশ সিইসি হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে
নিয়োগ দেয়া হয়। তার
সঙ্গে আরও ৪ জনকে
নির্বাচন কমিশনার করা হয়। তারা
হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা
জজ বেগম রাশিদা সুলতানা,
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান এবং সাবেক
সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর
ও আনিছুর রহমান।
এনএম/ডা