
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২১, ০৬:৩৭ পিএম
ভারতে
নারী যৌন হয়রানির ভাইরাল
ভিডিওর ঘটনায় জড়িত সবাই অবৈধভাবে ভারতে
প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও
বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, স্কুল
কলেজের বখে যাওয়া মেয়ে
ও গৃহবধূদের টিকটক গ্রুপের মাধ্যমে একত্র করে ভারতসহ দুবাই
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচার করত
টিকটক হৃদয়ের গ্রুপ। এরা একটি আন্তর্জাতিক
নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য। এদের নেটওয়ার্ক বেশ
বিস্তৃত বলে ধারণা করছে
পুলিশ। ভারতে গ্রেফতার হওয়াদের দেশে ফিরিয়ে আনতে
কাজ করছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার।
আজ
(২৯ মে) সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা বলেন তেজগাঁও
বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি আরো বলেন,
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের কয়েকটি
রাজ্যের কিছু অপরাধী মিলে
এই সঙ্ঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রটি
গড়ে তুলেছে। এই চক্রটির নেটওয়ার্ক
বাংলাদেশ, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের
দুবাইসহ কয়েকটি দেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
স্কুল কলেজপড়ুয়া মেয়েসহ বিবাহিত গৃহিণী পর্যন্ত সবাই এই চক্রটির
টার্গেট ছিল।
তেজগাঁও
বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার বলেন, মূলত টিকটক ভিডিও
তৈরি করতে গিয়ে তরুণ-তরুণীরা পারস্পরিকভাবে পরিচিত হয়ে একটি ফেসবুক
গ্রুপে সংযুক্ত হয়। যে ফেসবুক
গ্রুপটির মূল পৃষ্ঠপোষক এই
আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রটি।
এই গ্রুপের অ্যাডমিনের তত্ত্বাবধানে গত বছরের শেষের
দিকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার
অবস্থিত একটি রিসোর্টে ৭০০-৮০০ জন তরুণ-তরুণী পুল পার্টিতে অংশগ্রহণ
করে। এই গ্রুপের সুনির্দিষ্ট
কিছু সদস্য আছে, যারা গ্রুপের
নারী সদস্যদের ভারতের বিভিন্ন মার্কেটে, সুপার শপ, বিউটি পার্লারে
ভালো বেতনের চাকরির অফার দিয়ে প্রলোভনে
ফেলে ভারতে পাচার করে।
ডিসি
আরো বলেন, এই চক্রের মূল
আস্তানা ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুর এলাকায়। মূলত পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত
করার উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন বয়সের মেয়েদেরকে ভারতে পাচার করা হয়। এই
চক্রটি ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের
বেশ কিছু হোটেলের সঙ্গে
চুক্তিবদ্ধ। সে হোটেলগুলোতে চাহিদামাফিক
বিভিন্ন বয়সের মেয়েদেরকে নিয়মিতভাবে সরবরাহ করা হয় বলে
আমরা তথ্য পেয়েছি।
তিনি
জানান, এই চক্রের সদস্যরা
পাচারকৃত নারীদের ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুরায় নিয়ে যাওয়ার পর
কৌশলে নেশাজাতীয় বা মাদকদ্রব্য সেবন
করিয়ে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ
করে। পাচারকৃত নারীদেরকে সব সময় হুমকি
দেয়া হয়, তাদের অবাধ্য
হলে বা পালিয়ে যাওয়ার
চেষ্টা করলে এই ভিডিও
তাদের স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হবে। আমরা
এমন কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য
পেয়েছি।
মোহাম্মদ
শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ভাইরাল ভিডিওর ঘটনায় জড়িত সব বাংলাদেশী
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে
তথ্য পেয়েছি।’
এলআই/এম. জামান