• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২১, ০২:২৮ পিএম

ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান

লাইজুল ইসলাম

ভারতে পাচারের পর নির্যাতিতা নারীকে উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ইতোমধ্যে তারা প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। তা ছাড়া কেরালা রাজ্যে অভিযান পরিচালনা করছে ভারতীয় পুলিশ। তবে এখনও নির্মম নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই অভিযান চলছে বলে বেঙ্গালুরু পুলিশ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগকে জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই তরুণীকে উদ্ধারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ডিএমপির কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক বেঙ্গালুরু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাকে উদ্ধারের পর বেঙ্গালুরুতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জবানবন্দি নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

দিকে, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারের পর শুক্রবার তদন্তের জন্য থানা থেকে গ্রেফতারকৃত চার তরুণকে তাদের আবাসস্থলে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই টিকটক হৃদয় বাবু সাগর পুলিশকে আক্রমণ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে হৃদয় সাগর হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়। ভারতীয় পুলিশ বলছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

দুবাই পাঠানোর স্বপ্ন দেখানো হয়। আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে, বাবা সন্তানকে নিয়ে একটু ভালো থাকবে, সে প্রত্যাশায় প্রতারকদের ফাঁদে পা দেয়। অবশেষে তাকে ভারতে নিয়ে গিয়ে পতিতালয়ে বিক্রির সময় কয়েকজন মিলে যৌন নির্যাতন করে, সে ঘটনার ভিডিও অনলাইনে চড়িয়ে পড়লে হই চই শুরু হয়। সীমানা পেরিয়ে তা নজরে আসে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

ইতোমধ্যে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় ভিকটিমের বাবা একটি মামলা করেছেন। একই ঘটনায় ভারতের বেঙ্গালুরুতেও সেখানকার পুলিশ মামলা করেছে।

ডিএমপির তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়েটিকে দুবাইয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভারতে পাচার করা হয়। এই পাচারে বাংলাদেশ ভারতের সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

তিনি বলেন, ভিকটিমের বাবার করা মামলাটিও তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে টিকটক হৃদয়ের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। তাকে যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমদের কাছে ভিকটিমের কিছু তথ্য আছে। তিনি কোথায় আছে তা আমরা কিছুটা জানতে পেরেছি। সেই হিসেবে আমরা বেঙ্গালুরু পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি। আশা করছি আমরা ভিকটিমকে ফিরিয়ে আনতে পারব।

তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ আল ফারুক জানান, ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি তরুণীর ওপর নৃশংস যৌন সহিংসতার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশ ভারতের পুলিশ ঘটনার তদন্তে তৎপর হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ভিকটিম নির্যাতনকারীদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এখন অধিকতর তদন্তে প্রকৃত বিষয় উদ্ঘাটন করা হবে। কারা, কী উদ্দেশ্যে পাচার করছিল, কেন নির্যাতন করেছিল সবই জানার চেষ্টা চলছে।

এলআই/এএমকে

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ