প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২, ০৭:২৬ পিএম
আবুল হারিছ চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব এবং ২১
আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি।গত
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন বলে
জানিয়েছেন তার চাচাতো ভাই
আশিক উদ্দিন চৌধুরী। বিএনপির সাবেক এই নেতা সত্যিই
মারা গেছেন কি না, তা জানতে
চেয়ে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে ইন্টারপোল।
তার বিরুদ্ধে থাকা ইন্টারপোলের রেড
নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য তার মৃত্যুর
প্রমাণ চেয়েছে ইন্টারপোল।
শনিবার
(১২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল
সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মহিউল ইসলাম।
তিনি জানান, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। একজন মৃত মানুষের তো ইন্টারপোলে রেড নোটিশ রেখে কোনো লাভ নেই। তাই আমরা পুলিশের অপারেশনাল ইউনিট সিআইডির কাছে তার মৃত্যুর সত্যতা জানতে চেয়েছি। তিনি মারা গেছেন কি না, তা জানাতে বলেছি। তাদের অনুরোধেই হারিছ চৌধুরীর ইন্টারপোলে রেড নোটিশ চাওয়া হয়েছিল।’
এ
বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদক কামরুজ্জামান জানান, এনসিবি থেকে একটি চিঠি
পেয়েছি। হারিছ চৌধুরীর স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী সিলেটের পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা
নিতে চিঠি দিয়েছি। একই
সঙ্গে ঢাকায় তার দুটি অস্থায়ী
ঠিকানায় খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে
নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার
এসব ঠিকানা থেকে বিস্তারিত তথ্য
পাওয়ার পর সিআইডি এনসিবিকে
বিস্তারিত জানিয়ে দেবে।
হারিছ
চৌধুরী ২০০৪ সালের ২১
আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি। ২০০৭ সালে জরুরি
অবস্থা ঘোষণার পর সিলেটের কানাইঘাটে
তার নিজ বাড়িতে অবস্থান
করছিলেন। যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে ওই বছরের ২৯
জানুয়ারি সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে
যান বলে জানাজানি হয়।
তারপর থেকে হারিছ চৌধুরীর
অবস্থান নিশ্চিত ছিল না।
এরপর
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গত ২০১৮ সালের
১০ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সে
বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে ৭ বছরের
কারাদণ্ড ও ১০ লাখ
টাকা জরিমানা করা হয়। সাবেক
অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম
এস কিবরিয়া হত্যা মামলায়ও তিনি আসামি ছিলেন।
পারিবারিকভাবে
জানানো হয়, মৃত্যুকালে তার
বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি
যুক্তরাজ্যে তার স্ত্রী জোসনা
আরা চৌধুরী, ছেলে নায়েম শাফি
চৌধুরী ও মেয়ে সামিরা
তানজিন চৌধুরীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার
দিঘীরপাড় ইউনিয়নের দর্পনগরে কেউ থাকেন না।
নূর/ফিরোজ