• ঢাকা শনিবার
    ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

২ আসামির মৃত্যুতে মানবতাবিরোধী মামলা অকার্যকর ঘোষণা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০৬:৫০ পিএম

২ আসামির মৃত্যুতে মানবতাবিরোধী মামলা অকার্যকর ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সাংসদ (যশোর-৬, কেশবপুর) শাখাওয়াত হোসেন ও বিল্লাল বিশ্বাস মারা যাওয়ায় তাদের মামলা অকার্যকর ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি ছিলেন। এর আগে গ্রেফতার হয়ে এই ২ সাজাপ্রাপ্ত আসামি রায়ের পরে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। ওই আপিল বিচারাধীন থাকার সময় ২০১৮ সালে বিল্লাল এবং ২০২১ সালে শাখাওয়াত হোসেন মারা যান।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আসামিদের মৃত্যুজনিত কারণে মামলা অকার্যকরের আদেশ দেন। 
২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে শাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার ৮ আসামির মধ্যে অন্য ৭ জনকে দেয়া হয় আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জন হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল। ৮ আসামির মধ্যে গ্রেফতার ছিলেন শাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন। বাকি ৬ জন ছিলেন পলাতক।

একাত্তরের ইসলামী ছাত্রসংঘ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যশোরের কেশবপুরের রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার। অন্য আসামিরা ছিলেন একই বাহিনীর সদস্য।

শাখাওয়াতের নেতৃত্বে কেশবপুরের চিংড়া, বগা, ভাণ্ডারখোলা, নেহালপুর, হিজলডাঙ্গা, গৌরীঘোনা ও ভাল্লুকঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাট অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন তারা। 

১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াত থেকে সংসদ নির্বাচিত হন শাখাওয়াত। সংসদ সদস্য থাকাবস্থায়ই ১৯৯৫ সালে তিনি জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপির ধর্ম বিষয় সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন তিনি। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করে শাখাওয়াত পরাজিত হন।

২০০৬ সালে বিকল্পধারায় যোগ দেন। এলডিপি ও পিডিপি হয়ে তিনি এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। সর্বশেষ শাখাওয়াত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ডাকুয়া/

আর্কাইভ