প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২, ১২:৩৬ এএম
নতুন
ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে দ্রুত বিস্তার ঘটছে করোনাভাইরাসের। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ২০ জন। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩০৮ জনে।
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৪০ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জনে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ১৫ জনের মৃত্যু হয় এবং শনাক্ত হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৮০৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩২৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪৬ হাজার ২৯২টি। পরীক্ষা করা হয় ৪৬ হাজার ২৬৮টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ, ১২ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৫ জন। চট্টগ্রামে ৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া রাজশাহীতে ২, বরিশালে ১, সিলেটে ২ ও ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গেল বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত বছরের ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
জেডআই/ডা