• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সবজির বাজার চড়া, কমেছে মুরগির দাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৬:০১ পিএম

সবজির বাজার চড়া, কমেছে মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে প্রচুর আমদানি থাকায় আলুর দাম করেছে। মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই বাজারে ভির জমায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। পুরো সপ্তাহের বাজার করাই তাদের লক্ষ্য। বাজারে নতুন পেঁয়াজের প্রচুর আমদানি থাকায় দাম কিছুটা কমেছে।  কমেছে মুরগির দামও। তবে ডিমের দাম এখন বাড়তি।

প্রতি কেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাঁজর প্রতিকেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়ার পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

সবজি ব্যবসায়ী শাহাদৎ বলেন, এখন দিন যত যাবে, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ কমবে। সবজির দাম আর কমার সম্ভাবনা কম। তবে পাকা টমেটোর দাম সামনে আরও একটু কমতে পারে।

এ সব বাজারে পুরান ও নতুন আলুর দাম কমেছে। দাম কমে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। পুরান আলুর কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা।

দাম কমেছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। 

বাজারে দাম কমেছে চায়না রসুনের। চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।

পিয়াজ-রসুন বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, আমদানি বেশি থাকায় কমেছে আদা, রসুন, আলু ও পেঁয়াজের দাম। দাম বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। 

এসব বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। 

বাজারে আগের দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। 

বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা।

মুগদা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম কমতির দিকে। একমাসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে। আমাদের ধারণা সামনে মুরগির দাম আরও কমবে।

কমলাপুর বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদ শেখ বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির সরবরাহ বেড়েছে। চাহিদা আগের থেকে বাড়েনি। বরং করোনা বেড়ে যাওয়ায় আগের থেকে চাহিদা কমেছে। একমাস আগে যে পরিমাণ মুরগি বিক্রি করেছি, এখন বিক্রি হচ্ছে তার থেকে কম। এ কারণেই মুরগির দাম কমেছে।

জেডআই/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ