• ঢাকা শনিবার
    ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

গান-কবিতায় মুখরিত শাবিপ্রবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৬:০৯ এএম

গান-কবিতায় মুখরিত শাবিপ্রবি

মুনওয়ার আলম নির্ঝর

ঝড়ের পরে যেমন একটা অদ্ভুত নীরবতা নেমে আসে ঠিক তেমনই নীরবতা নেমে এসেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে এই শান্ত প্রকৃতিতে ভেসে বেড়াচ্ছে শিক্ষার্থীদের মিষ্টি গান-কবিতা। বিকেলে একটা ফুটবল ম্যাচও হয়েছে। যেই ম্যাচের ফুটবলের গায়ে লেখা ছিল উপাচার্য 'ফরিদের' নাম। 

গত ১৩ জানুয়ারি হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে শুরু হয়েছিলো ছাত্রীদের আন্দোলন। যা পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রূপ নেয়। কিন্তু অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের হস্তক্ষেপে শান্তি ফিরতে শুরু করেছে সবুজ শ্যামল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল , গত তিন বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রোড পেইন্টিং বন্ধ, সীমিত করা হয়েছে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। কমিয়ে দেয়া হয়েছে টং দোকান। এতে মুক্ত চিন্তার সকল দ্বার বন্ধ হয়ে যায়। আর তাই এখন শীক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসজুড়ে পেইন্টিং করছে। গান-কবিতায় মেতে উঠেছে স্লোগান থামিয়ে। 

সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয় 'কেমন শাবিপ্রবি চাই' শীর্ষক। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ সমস্যা খুঁজে বের করা হয়েছে। যা থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণগুলি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনির সাথে আলাপ করতে চায় শিক্ষার্থীরা। 

অবরোধ প্রত্যাহারের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও  প্রশাসনিক ভবনসহ সব ভবনের তালা খুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে তালা খুলে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গুঞ্জন ছড়িয়েছে, গতকাল রাতে গেট খুলে দেয়ার পর বাসভবন ত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। যদিও বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। আর ভিসির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। 

অপরদিকে অনশনরত ২৮ শিক্ষার্থীকে অনশন ভাঙানোর পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ২৭ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ বাসায় আবার কয়েকজন হলে অবস্থান করছেন। চিকিৎসকরা একদিন পর্যবেক্ষণে রেখে বিভিন্ন নির্দেশনা তাদের ছেড়ে দেন। তবে এপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ায় অস্ত্রোপচার হওয়া মাহিন শাহরিয়ার রাতুল নামের এক শিক্ষার্থী এখনো রাগীব রাবেয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

জনি
আর্কাইভ