প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২১, ১০:১৩ পিএম
জাতিসংঘের
টিকা জোট কোভ্যাক্স থেকে
পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬০০
ডোজ আগামী বোরবার (৩০ মে) দেশে
আসছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাতে
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল
হক এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন।
তিনি
বলেন, আগামী রোববার কোভ্যাক্স-এর পক্ষ থেকে
ফাইজারের এক লাখ ৬২০
ডোজ দেশে পৌঁছবে। তবে
কাদের এ টিকা দেয়া
হবে, কবে নাগাদ টিকা
প্রয়োগ শুরু হবে জানতে
চাইলে শামসুল হক বলেন, এসব
এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এ
দিকে কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি
৮০ লাখ ডোজ টিকা
পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাওয়ার
কথা থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কট হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।
এর
আগে কোভিডশিল্ড, স্পুটনিক ভি, সিনোফার্মের পরে
দেশে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেল
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ওষুধ
প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ
মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ
তথ্য জানানো হয়।
দরিদ্র
দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড
ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) কাছ থেকে ফাইজারের
এ টিকা আসছে।
কোভ্যাক্স-এর পূর্ণাঙ্গ রূপ
হলো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল
অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস
ইনোভেশন ও দাতব্য সংস্থা
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড
ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। এ উদ্যোগের
লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুদ করে না
রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে
সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার
জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা।
বাংলাদেশ
সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ১৩ কোটির বেশি
মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
দীপ/এম. জামান