প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ১১:১৮ পিএম
নতুন
ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে দ্রুত বিস্তার ঘটছে করোনাভাইরাসের। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায়
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৭৩ জনে।
একই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ৫২৭ জন। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জনে। পরীক্ষার বিপরীতের শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ১৮ জনের মৃত্যু এবং ১৬ হাজার ৩৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৬ জন।
একই সময়ে ৪৯ হাজার ২৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪৯ হাজার ৭৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের ৩১ হার দশমিক ৬৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১০ ও চট্টগ্রামে ৪ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গেল বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত বছরের ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
জেডআই/ডা