প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২, ১২:৪৩ এএম
নতুন
ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে দ্রুত বিস্তার ঘটছে করোনাভাইরাসের। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ ঘণ্টায়
নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৩৪ জন। এতে মোট শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জনে। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮
দশমিক ৪৯ শতাংশে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১২ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৯২ জনে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) চারজনের মৃত্যু এবং ১০ হাজার ৮৮৮ জন শনাক্ত হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৫২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৫ জন।
একই সময়ে সরকারি-বেসরকারি ৮৫৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪০ হাজার ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ১১ হাজার ৪৩৪ জন। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৫টি। এতে মোট শনাক্ত হয় ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক শূন্য ৮২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৭৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৭ জনে। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গেল বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত বছরের ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
জেডআই/ডা