প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২, ০৫:৪৯ পিএম
সপ্তাহের
ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে আলু, টমেটো, পেঁয়াজ ও
মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে ভোজ্যতেল ও ডালের দাম। আর বেশিরভাগ সবজির
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে
এই চিত্র দেখা গেছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এ দিন সকাল থেকেই বাজারে ভিড় জমায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পুরো সপ্তাহের বাজার করাই তাদের লক্ষ্য। বাজারে নতুন পেঁয়াজের প্রচুর আমদানি থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। কমেছে মুরগির দামও। তবে বেড়েছে ডিমের দাম।
শীতের অর্ধেক চলে গেলেও কমেনি সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে তেমন হেরফের হয়নি। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।
এসব বাজারে পুরান ও নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দাম কমে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ৫ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
দাম কমেছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
বাজারে দাম কমেছে চায়না রসুনের। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি আদা বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে চায়না আদা বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রহিম ব্যাপারী বলেন, ‘মৌসুম শেষেও এবার পেঁয়াজের দাম খুব একটা বাড়েনি। এখন নতুন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। দিন যত যাচ্ছে বাজারে ভালো মানের নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। আর বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।’
পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা মিস্টার আলী বলেন, ‘নতুন সিজন ও আমদানি বেশি থাকায় কমেছে আদা, রসুন, আলু ও পেঁয়াজের দাম। দাম বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’
এসব বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
বেড়েছে ইন্ডিয়ান ডালের দাম। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।
এসব বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। গত সপ্তাহে লিটার বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।
বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়।
মুরগি বিক্রেতা আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘শীত বাড়ায় কমেছে মুরগির দাম। সাপ্লাই ভালো থাকলেও দাম কম যাচ্ছে মুরগির। গত বছরের তুলনায় এই সময় মুরগির দাম আরও কম ছিল। সেই অনুযায়ী মুরগির দাম এখনও বেশি।
জেডআই/ডা
