প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২, ০৪:২৮ এএম
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে
বাড়ছে সংক্রমণ। ইতোমধ্যে সেটি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন
করে সংক্রমণ ঠেকাতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয়
কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
একই সঙ্গে জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সুপারিশ করেছে কমিটি।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১০টায় জুম প্ল্যাটফর্মে ৫৩তম সভা অনুষ্ঠিত হলেও বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই পাঁচ পরামর্শের কথা জানানো হয়। কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভায় নিম্নলিখিত সুপারিশ করা হয়।
১. কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ নিশ্চিত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তি যাদের কোনো উপসর্গ নেই তাদের কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই। তবে তাদের টাইট মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিমানবন্দরসহ সব পোর্ট অব এন্ট্রিতে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য কমিটি সুপারিশ করছে।
৩. সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড সব রোগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।
৪. মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক জারি করা প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীদের যেমন- পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারাসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
৫. জাতীয় পরামর্শক কমিটি জনগণকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করে। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে।
একই সময়ে নতুন করে আরও ৯ হাজার ৫০০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে।
জেডআই/এম. জামান