• ঢাকা বুধবার
    ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৪০ দেশে টাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশে আসেন জানবুরকান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২, ০৯:৪২ পিএম

৪০ দেশে টাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশে আসেন জানবুরকান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হাকান জানবুরকান (৫৫) তুরস্কের নাগরিক আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্কেমিং চক্রের সদস্য। নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব স্পেনে ওই দেশের নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করেন। এরপর টাকা তুলে নেন বুথ থেকে। এভাবে প্রায় ৪০টি দেশের বুথ থেকে টাকা তোলেন তিনি। বাংলাদেশেও তাই করতে আসেন। কিন্তু এখানে দীর্ঘদিন চেষ্টার পরও কোনো বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেননি।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান- থেকে তাকে আটক করা হয়। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের একটি দল তাকে আটক করে। তার সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক মো. মফিউল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়।


এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিভিন্ন মডেলের ফোন, একটি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জব্দ করা হয়।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন হাকান জানবুরকান। এরপর চলতি বছরের - জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে কার্ড ক্লোনিং স্কেমিংয়ের মাধ্যমে শতাধিকবার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। ব্যাংকটির অ্যান্টি ফেমিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় অ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারে। ফলে তারা হ্যাকারদের হাত থেকে স্কেমিং রোধ করতে সক্ষম হয়। এই নাগরিক একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে এসেছেন।’

সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘হাকান জানবুরকান ২০১৬, ২০১৮, ২০১৯ ২০২০ সালেও বাংলাদেশে আসেন। তখনও তার উদ্দেশ্য ছিল বুথ থেকে টাকা তুলে নেয়া। সে সময় বাংলাদেশে এসে তার সহযোগী গ্রেফতার মফিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই মফিউল ইসলামের ভাই একই অপরাধে গ্রেফতার হয়ে ভারতের জেলে রয়েছেন।’


বাংলাদেশে তার অবস্থান জানিয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘তুরস্কের ওই নাগরিক গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে পল্টনে একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। এরপর - জানুয়ারি ইস্টার্ন ব্যাংকের বিভিন্ন বুথে গিয়ে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে টাকা ওঠানোর চেষ্টা করেন।’

জিজ্ঞাসাবাদে তুরস্কের এই নাগরিক জানান, ভারতের আসামে পল্টন বাজার পুলিশ স্টেশনে এটিএম স্কেমিং মামলায় দুই বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তখন তারা ভারতের বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে প্রায় ১০ লাখ রুপি আত্মসাৎ করেন।

নূর/ডা

আর্কাইভ