প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২২, ০৮:৪৭ পিএম
বিশ্বের
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন
পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
কিন্তু রাজধানীর গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। চালক এবং চালকের সহযোগী থেকে
শুরু করে যাত্রীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মুখে মাস্ক নেই। বিষয়টি দেখভালে
কর্তৃপক্ষে কোনো নজরদারি লক্ষ্য করা যায়নি। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন
এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস স্টপেজগুলোতে হুড়াহুড়ি করে উঠছে যাত্রীরা। ওঠার সময় তাদের হাতে দেয়া হচ্ছে না জীবাণুনাশক। মাস্ক পরা নিয়েও নেই সামান্যতম কড়াকড়ি। স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলাচল করছে বাস। এমন দৃশ্য দেখে বোঝার উপায় নেই, গণপরিবহনে করোনা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা রয়েছে।
রামপুরা এলাকায় রাইদা পরিবহনের চালক শাহ আলমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা মাস্ক না পরলে তো আমাদের কিছু করার নাই। যাত্রীর চাপের কারণেই বাসে বেশি যাত্রী নিতে হচ্ছে। এর মধ্যে যতটুকু পারছি স্বাস্থ্যবিধি মানছি।’
বাসের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনায় বিআরটিএ বলেছে, গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেলপার-কাম-ক্লিনার এবং টিকিট বিক্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান/ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানামা করার ব্যবস্থা করতে হবে। যাত্রার শুরু ও শেষে মোটরযান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া মোটরযানের মালিকদের যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
লোকাল ও কমিউটার ট্রেন এবং লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানায়ও ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। আন্তঃনগর ট্রেনে করোনা স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়িভাবে মানা হচ্ছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে কাউকে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। তবে ট্রেনের আসনে বসেই অনেক যাত্রী আর মুখে মাস্ক রাখে না। চলন্ত ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা নজরদারির কেউ নেই।
জেডআই/ডা