প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২২, ০৯:০১ পিএম
বিশ্বের
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন
পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
গণপরিবহনে সেটি উপেক্ষিত থাকলেও নিয়ম মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলছে ট্রেন।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা
গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (১০ জানুয়ারি) ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, স্টেশনে ঢুকতেই টিকিট যাচাই করছেন রেলের কর্মীরা। এ সময় টিকিট থাকলেও মুখে মাস্ক না থাকলে যাত্রীকে ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্টেশনে ঢোকার পথেই একটি বোতলে জীবাণুনাশক রাখা হয়। পাশেই সেটা ব্যবহারের অনুরোধ করে লেখা একটি বিজ্ঞপ্তি। তবে যাত্রীদের এই স্যানিটাইজার খুব বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
সকাল থেকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া একাধিক আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা আসন ফাঁকা রেখে বসেছেন। তবে পরিচিত যাত্রীদের কেউ কেউ ট্রেনে উঠে পাশাপাশি বসেছেন। সঙ্গে ছোট সন্তান আছে, এমন অনেক অভিভাবক পাশের আসনে সন্তানকে বসিয়েছেন।
এ ছাড়া স্টেশনে যাত্রীদের বসার তিন আসনের বেঞ্চগুলোতে মাঝের আসন ফাঁকা রেখে বসার নির্দেশ দিয়ে স্টিকার লাগানো হয়েছে। একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অর্ধেক আসন ফাঁকা গেলেও ভাড়া বাড়েনি।
তবে বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকার কমলাপুরে পৌঁছানো ট্রেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা দেখা যায়নি। কিছু ট্রেনে সব আসনের পাশাপাশি দাঁড়িয়েও যাত্রী আসতে দেখা গেছে।
জামালপুর কমিউটার ট্রেনে আসা ব্যবসায়ী শহিদুল আলম জয়দেবপুর থেকে ওই ট্রেনে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওঠার আগে থেকেই ট্রেনভর্তি যাত্রী ছিল। তবে ট্রেনে আসা অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক ছিল।’
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেনে যাত্রা শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১২টি আন্তঃনগর ও ৬টি লোকাল ট্রেন—প্রতিটি অর্ধেক আসনের যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। কোনো স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।’
রেলওয়ে সূত্র বলছে, ট্রেনের ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসনের টিকিট অনলাইন ও কাউন্টার—দুই জায়গায় সমানভাবে বিক্রি অব্যাহত আছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে (অ্যাপ/অনলাইন)। আর বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাচ্ছে।
জেডআই/এম. জামান