প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৪:৫৯ পিএম
সপ্তাহের
ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে
ডিমের দাম। আর বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই বাজারে ভিড় জমায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পুরো সপ্তাহের বাজার করাই তাদের লক্ষ্য। বাজারে নতুন পেঁয়াজের প্রচুর আমদানি থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। কমেছে মুরগির দামও। তবে বেড়েছে ডিমের দাম।
অবশ্য সবজির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। যেমন প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।
এসব বাজারে পুরান ও নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দাম কমেছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারে দাম কমেছে চায়না রসুনের। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে চায়না রসুন বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।
মুগদা বাজারের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বাজারে বিধি-নিষেধের প্রভাব পড়েনি। আমদানি বেশি থাকায় কমেছে রসুন ও পেঁয়াজের দাম।’
এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মসুর ডাল। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।
বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি
বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০
টাকা। ১০ টাকা দাম কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি
মুরগির কেজি ছিল ২৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।
কমলাপুর বাজারের মুরগি বিক্রেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, এখনও বাজারে বিধি-নিষেধের প্রভাব পড়েনি। তবে সম্ভাবনা আছে। শীত বাড়ায় কমেছে মুরগির দাম।
আবারও বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এসব বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ১ টাকা। নাজিরশাইল চাল কেজি ৭১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালে প্রতি কেজিতে ১ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১ টাকা। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা।
খিলগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী রহিম বলেন, ‘বাজারের সব ধরনের চালে কেজিতে ১ টাকা করে বেড়েছে। পাইকাররা বলছে বাজারে ধানের দাম বাড়ায় বেড়েছে চালের দাম। চালের দাম বাড়ার মূল কারণ সিন্ডিকেট, এ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
জেডআই/ডা