• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিক্রি হচ্ছে হরিণ ও ময়ূর

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ১০:৫৫ পিএম

জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিক্রি হচ্ছে হরিণ ও ময়ূর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধারণক্ষমতার চেয়ে সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিত্রা হরিণ ময়ূর বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে হরিণপ্রতি দাম ধরা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা, আর ময়ূরের দাম ২৫ হাজার টাকা। জাতীয় চিড়িয়াখানায় হরিণ-নীল ময়ূর কিনতে ২০টি আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে ১২টি হরিণ ৮টি নীল ময়ূর রয়েছে। ছাড়া এসব প্রাণী কিনতে অনেকে নানাভাবে যোগাযোগ করছেন। বন্যপ্রাণী লালন-পালনে বন বিভাগের অনুমোদন নির্ধারিত অর্থ পেলে প্রাণী হস্তান্তর করবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে গত পাঁচ মাস চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। কারণে স্বাভাবিক বন্য পরিবেশে বেড়ে উঠেছে সকল প্রাণী। এতে চিড়িয়াখানার প্রাণিকুলের প্রজনন ক্ষমতাও বেড়েছে অনেক। ফলে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণী বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রথমে হরিণ নীল ময়ূর বিক্রি করা হবে।

বিষয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, হরিণ নীল ময়ূর বিক্রির জন্য পর্যন্ত লিখিতভাবে ২০টি আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। তার মধ্যে ১২টি হরিণ ৮টি ময়ূর কিনতে আবেদন করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্রেতা বাসাবাড়িতে এসব প্রাণী লালন-পালন করার জন্য কিনতে চাচ্ছেন। ছাড়া অনেকে ফোনে যোগাযোগ করে কেনার প্রক্রিয়া জানতে চাচ্ছেন। প্রাণী কিনতে বন বিভাগের অনুমোদনসহ নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করলে প্রাণী হস্তান্তর করা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে চিড়িয়াখানায় বিক্রিযোগ্য ১৫০টি হরিণ রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে থেকে ৩টি নতুন হরিণ প্রজনন হচ্ছে। তবে বর্তমানে ময়ূরের ডিম দেয়ার সময় হয়েছে। এরা ডিম দিলে তা থেকে নতুন বাচ্চা ফোটানো হবে।

কারণে জুলাই মাসের আগে ময়ূর বিক্রি করা হবে না বলেও জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার পরিচালক। জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মা হরিণগুলো অনেক বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। সেগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে। সব মিলিয়ে চিড়িয়াখানার তিনটি শেডে বর্তমানে ৩১৮টি হরিণ রয়েছে। শেডগুলো অসমতল হওয়ায় ধারণক্ষমতা কম। চিড়িয়াখানার এসব শেডে সর্বসাকুল্যে ৩০০ হরিণের অবাধ বিচরণের সুযোগ রয়েছে। অথচ এখন হরিণের সংখ্যা ৩১৮। এজন্য কিছু হরিণ দ্রুত বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্রির জন্য নির্ধারিত হরিণ শাবকগুলোর সরকারি মূল্য প্রতিটি ৭০ হাজার টাকা। যেহেতু হরিণের নিয়মিত প্রজনন হচ্ছে, তাই এখন প্রতি মাসে অন্তত ২০টি হরিণ শাবক বিক্রি করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৭৮টি নীল ময়ূর রয়েছে। এসব ময়ূর বিক্রি করা হবে। নীল ময়ূরের জন্য পর্যাপ্ত স্থান থাকলেও বিরল প্রজাতির পাখি হওয়ায় এগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এই পাখির বিচরণ বাড়বে। মানুষ নীল ময়ূর সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব খাতে আয়ও বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এক জোড়া নীল ময়ূর ৫০ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রতিটি ২৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

/ওবায়েদ

আর্কাইভ