প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২, ১০:২০ পিএম
২২ কোটি টাকার
অবৈধ সম্পদ পাওয়ায় মো. মনির হোসেন
ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৯
জানুয়ারি) দুদক সূত্রে এ
তথ্য জানা গেছে।
এর
আগে, বাড্ডার ডিআইটি প্রকল্পের প্লটসহ বিভিন্ন জমি আত্মসাৎ ও
নথি গায়েবের অভিযোগে গোল্ডেন মনিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে
মামলা করে দুদক।
মামলার
আসামিরা হলেন- অটোকার সিলেকশনের মালিক মো. মনির হোসেন
ওরফে গোল্ডেন মনির, জমির দালাল সিরাজগঞ্জের
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও
নারায়ণগঞ্জের মো. নাসির উদ্দিন
খান, রাজউকের উপ-পরিচালক মো.
দিদারুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী
পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন
শরীফ, অফিস সহকারী কাম
কম্পিউটার অপারেটর মো. আনোয়ার হোসেন,
ঊর্ধ্বতন হিসাব সহকারী এস এম তৌহিদুল
ইসলাম, কার্য তদারককারী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন সরকার
ও রাজউক অফিস সহায়ক মো.
পারভেজ চৌধুরী।
দুদকের
ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১এর উপ-পরিচালক মো.
শফিউল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি
করেন।
আসামিরা
পারস্পরিক যোগসাজশে ২০১৭ সালের ১
ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের
১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অফিস থেকে নিয়মানুযায়ী
বিভিন্ন নথি মুভমেন্ট রেজিস্টারে
এন্ট্রি করেননি। আবার বিভিন্ন রেকর্ড অফিসে জমা না দিয়ে
কৌশলে সরিয়েছেন ও বিভিন্ন কর্মকর্তার
সিল অবৈধভাবে তৈরি করে ভুয়া
নথি তৈরি করেন। এভাবে
বিভিন্ন লিজ দলিল সম্পাদন
করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেন আসামিরা।
বিভিন্ন
নথি যাচাই করে পাওয়া যায়
মনির হোসেনের (গোল্ডেন মনির) নির্দেশেই আসামি জিন্নাহ ও নাসিরসহ কয়েকজন
মিলে ৭০টি নথি কৌশলে
রাজউক মূল ভবন থেকে
রাজউক এনেক্স ভবনের এ-৫১৪ নম্বর
কক্ষে নিয়ে আসেন। তারা সরকারি নথিপত্র
কৌশলে সরিয়ে এবং বিভিন্ন কর্মকর্তার
সিল তৈরি করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ভুয়া
নথি তৈরি করে রাজউকের
বাড্ডা প্রকল্পের প্লট আত্মসাতের চেষ্টা
করেন।
নূর/এম. জামান