• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে প্রতীকী পাঠদান!

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ০৬:৪১ পিএম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে প্রতীকী পাঠদান!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুই এক্কে তিন, দুই দুগুণে পাঁচ- এভাবেই ইচ্ছাকৃত ভুল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানালেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজশাহীতে রাজপথে প্রতীকী ক্লাস অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে প্রতীকী ক্লাসের পাঠ্যবিষয় ছিল- ‘সমসাময়িক বাংলাদেশ শিক্ষা পরিস্থিতি।

শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক . ইফতেখারুল আলম মাসউদ। সংহতি প্রকাশ করে ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন- রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান, ছাত্রনেতা তামিম শিরাজী, আব্দুর রহমান নাবিল প্রমুখ।

প্রতীকী ক্লাসে এক শিক্ষার্থী দুই-এর ঘরের নামতা পড়েন। মো. জাকারিয়া নামের এক শিক্ষার্থী সেই নামতা রাবি অধ্যাপকের সামনে শোনান এবং দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রতিবাদ হিসেবে ভুল করে পড়েন।দুই এক্কে তিন, দুই দুগুণে পাঁচ, তিন দুগুণে সাত, আট দুগুণে সতের- এভাবে ভুল পড়েন এবং শিক্ষার্থীরা হাত উঁচিয়ে প্রতীকী বাধা দেন।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ।

একই বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সাবিরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দিনের কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহব্বত হোসেন মিলন, কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌকি ওয়াসিফ, রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী নাদিম সিনা, শিরোইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক . ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা চরমভাবে বিষণ্নতায় ভুগছে। অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সরকারকে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার আলো পেয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে শিক্ষার্থীরা। অন্যথায়, জাতি অচিরেই মেধাশূন্য হয়ে পড়বে।

দীপ/সবুজ/এম. জামান

 

আর্কাইভ