প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২২, ০৮:০৬ এএম
পুলিশ সদস্যদের করোনাভাইরাস-এর নতুন ধরণ ওমিক্রন প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ২১ টি বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি অপারেশনস-২)
মোহাম্মদ উল্ল্যা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, করোনাভাইরাস-এর
নতুন ধরণ ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব দেখা
যাচ্ছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব (ডিউটি)
পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্ল্যাভস, হেডকভার, ফেসশিল্ড প্রভৃতি
পরিধান করবেন।
করোনা উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা; দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়া; পুলিশের সব ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস ও ‘নো
মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন; দায়িত্ব পালনের
সকল ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার এবং হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার
ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
অন্য নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ
স্থাপনায় প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়, হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার; প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য
সুরক্ষাসামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত
করা; অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্র, হাতকড়া, রায়ট গিয়ার, হাতমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা।
নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে দায়িত্ব পালন শেষে আবাসস্থলে ঢোকার আগে পোশাক ও
জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করা; ডাইনিংরুম, ক্যানটিন, বিনোদনকক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাওয়ার আগে ও ফেরার পর, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায়
রাখা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা; উপসর্গ দেখা দিলে বা আক্রান্ত ব্যক্তির
সংস্পর্শে এলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা; আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে রেখে
চিকিৎসার ব্যবস্থা করা; ইউনিট ইনচার্জকে
জরুরি প্রয়োজনে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র স্থানান্তরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
গ্রহণ; ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তার নিজ
ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা
ও সহায়তা;
হাজতিদের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়েও নির্দেশনা এসেছে পুলিশ সদর দপ্তর
থেকে। হাজতখানা জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালে কোডিডের লক্ষণ প্রকাশ পেলে
অবিলম্বে তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া; রেশন সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং
সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা; করোনা সংক্রমণ
প্রতিরোধে পুলিশ সদর দপ্তরের এসওপির নির্দেশনা অনুসরণ ও রোল কলে সচেতনতামূলক
ব্রিফিং দেয়া; সংক্রমণ–সংক্রান্ত
নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিটে কর্মরত সব সদস্যের
স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ নিশ্চিত
করা।
করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সব পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
অর্ণব