• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

টিকা দেয়ার পরই খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ০৫:১৮ পিএম

টিকা দেয়ার পরই খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টিকা দেয়ার পরই খোলা হবে বিশ্ববিদ্যালয়। জন্য আবাসিক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের টিকা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৪০ বছর বয়সের নিচের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিক্ষকদের তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) বাসভান থেকে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় আগে খুলে দেয়া সম্ভব হলেও টিকা নিশ্চিত করার পরই খোলা হবে বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের সময় ব্যাপক মানুষের চলাফেরা হয়েছে। ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কোনো কোনো জেলায় বেশি। এসব মাথায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি জুনের ১২ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। 

তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় সরকার। প্রথমত এসএসসি এইচএসসিতে সপ্তাহে দিন ক্লাস নেয়া হবে। ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদেরও একই ভাবে ক্লাস নেয়া হবে। অন্য ক্লাসের সপ্তাহে এক দিন ক্লাস নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে স্কুলে ভর্তি, বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষণ, লেসনসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে সব শিক্ষার্থীর ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা সম্ভব নয়।

অ্যাসাইনমেন্টের মতো নতুন বিষয় আমরা যুক্ত করেছি। অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে সংশয় থাকলেও সবাই এটা ভালোভাবে নিয়েছে। ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইমেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। ফলে ঝরে পড়ার আশঙ্কা অনেকটা দূর হয়েছে। এটা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সারা দেশের দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। তারা যাতে বই পড়ে, তারা যেন অ্যাসাইনমেন্টে অংশগ্রহণ করে..., লকডাউনের মাঝখানে এটা বন্ধ ছিল কিন্তু এখন আবার শুরু হয়েছে।

টেলিভিশনের ক্লাসের পাশাপাশি স্কুলগুলোতে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। সারা দেশের পাঁচ হাজার শিক্ষককে অনলাইন ক্লাস করানোর ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আরও যুক্ত ছিলেন- প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর . সাজ্জাদুল হাসান, জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ।

সবুজ/এম. জামান

আর্কাইভ