• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

মুনিয়াকে ফ্ল্যাট কিনে দিতে চেয়েছিলেন আনভীর

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ০৩:৩৬ পিএম

মুনিয়াকে ফ্ল্যাট কিনে দিতে চেয়েছিলেন আনভীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে কয়েক দিনের মধ্যেই ফ্ল্যাট কিনে দিতে চেয়েছিলেন তার প্রেমিক বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। বিয়ে করে গোপন সংসার পাতবেন সেখানে।

আশ্বাস পেয়ে গুলশানে দুটি অভিজাত ফ্ল্যাট দেখেন মুনিয়া, যার একটির মূল্য সাত কোটি আরেকটির মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। কিন্তু ভাড়া করা ফ্ল্যাট মালিকের সঙ্গে কমপক্ষে এক বছর থাকার চুক্তি থাকায় পরবর্তীতে কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

ছাড়া মুনিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দ্বিতীয়বার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনেন তার প্রেমিক। গুলশানে লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে রাখেন। ভাড়ার টাকা অগ্রিম দিতে অন্যান্য খরচ বাবদ ব্যাংক এশিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে মুনিয়াকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেন আনভীর।

প্রেমিকাকে এমন স্বপ্ন দেখিয়ে পরবর্তীতে তুচ্ছ কারণে ওই তরুণীর জীবন বিষিয়ে তোলেন দুই সন্তানের জনক আনভীর। কিছুদিনের মধ্যেই রহস্যজনক মৃত্যু হয় ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার। দেশজুড়ে আলোচিত মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে।

ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সঙ্গে এমন জঘন্য প্রতারণা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বসুন্ধরা এমডির কঠোর দাবি করছেন তারা।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়ার সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে পরকীয়ায় জড়ান আনভীর। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই তরুণীকে বাসায় ডেকে নিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় যেতে বাধ্য করেন বসুন্ধরা এমডির পরিবার। ওই সময়েই অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান আনভীর। এরপর গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে কুমিল্লায় বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়ার বাসায় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের কন্যা মুনিয়া।

সূত্র মতে, মুনিয়া-আনভীরের পরকীয়া ভালোই চলছিল। দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করেন। একপর্যায়ে অন্য আরেক তরুণীর প্রেমে জড়ান আনভীর। নিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে তার মনোমালিন্য শুরু হয়। পরবর্তীতে ছলচাতুরী শুরু করেন বসুন্ধরা এমডি। আনভীরের স্ত্রীও বিষয়টি জানতে পেরে চাপ দেন। এরপর থেকে মুনিয়ার ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন শুরু করেন আনভীর।

নির্ঝর/সবুজ/এম. জামান

আর্কাইভ