প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২, ০৭:৩৩ পিএম
বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন অত্যন্ত সজ্জন, সৃজনশীল মানুষ ছিলেন। তার আচরণ, কথাবার্তা
ছিল পরিশিলীত। দুঃসময়ে তিনি ছিলেন অকুতোভয়।
সোমবার
(৩ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী
উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ
আশরাফ রাজনৈতিক অঙ্গনে কখনও কারও মনে আঘাত দিয়ে কথা বলেননি উল্লেখ করে হানিফ বলেন,
‘একজন মানুষের মধ্যে যেসব সভ্য আচার-আচরণ থাকে, সেগুলো সৈয়দ আশরাফের কাছ থেকে অনুকরণীয়
ছিল। জাতির অনেক ক্রান্তিলগ্নে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে
ওয়ান ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালে তত্ত্বাববধায়ক সরকারের সময় যখন দুই নেত্রীকে গ্রেফতারের
মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে যখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেই সময়ে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা
বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
তিনি
বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের সময় সৈয়দ আশরাফের কঠোর ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব
হেফাজতের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সময়োপযোগী দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডের
মধ্যে রাজনীতিতে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেন। সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে অত্যন্দ জনপ্রিয়
ছিলেন। তিনি সারা জীবন অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।’
নির্বাচন
কমিশন গঠন প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার
কারণে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আহ্বান করেছেন। বিএনপি যখন ক্ষমতায়
ছিল তখন তারা একক ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। কারও সঙ্গে আলাপের প্রয়োজনীয়তা
অনুভব করেনি। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বিধায় রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলগুলোর
সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই রাজনৈতিক দলের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে একটা
ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সংলাপ আহ্বান করেছেন।’
বিএনপি
চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরাও চাই বেগম খালেদা
জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রীই নন, সাধারণ মানুষ হিসেবেও অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে
ঘরে ফিরুক। তবে এটাও মনে রাখতে হবে আইন সবার জন্য সমান। কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য
আইন হয়নি বা বাংলাদেশে সেই বিধানও নেই। আইন পরিবর্তনেরও সুযোগ নেই। তার বিদেশে চিকিৎসার
জন্য একটা পথ খোলা আছে। আইনের মাধ্যমে সেটা হচ্ছে তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করেন। দণ্ড মওকুফ হলে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন।’
এ
সময় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সৈয়দ আশরাফের বোন সৈয়দা
জাকিয়া নূর, শাহজাদা মহিউদ্দিন, রাশেদুল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
নূর/এএমকে/ডা