প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২, ০৮:৩৩ এএম
বাজি ফুটছে একটা একটা করে, উড়ছে
ফানুস। রঙিন আলোয় ছড়িয়ে পড়ছে আকাশ। সঙ্গে
সঙ্গে উল্লাসে মাতোয়ারা সবাই। এ যেন টগবগে তারুণ্যের কলকাকলি।
নতুন বছরকে সামনে রেখে ৩১
ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাত ১১টার পর থেকেই ঢাকার প্রায় সব এলাকা সাজলো উৎসবের রূপে।
রঙিন আলোর ধারায় একের পর
এক আকাশে উড়ছে আতশবাজি। আনন্দ-উল্লাসের
মধ্য দিয়ে এবার নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার পালা।
১ জানুয়ারি (শনিবার) রাত
১২টা বাজার আগে বাজি ফুটেছে ধারাবাহিক। অন্তত টানা আধাঘণ্টা ঢাকার আকাশ ছিল
আলোকছটায় বর্ণিল। ফাঁকে ফাঁকে উড়েছে ফানুস।
দেখা যায়, খোলা
স্থানে বর্ষবরণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঢাকার মগবাজার, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনশ্রী, ধানমন্ডি, পল্টন
এলাকার তরুণেরা বাড়ির ছাদেই খ্রিস্টাব্দের নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়ার মূল মঞ্চ
হয়ে ওঠে।
এদিকে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে, দল
বেঁধে উদযাপনে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেও অন্যদের বেলায় এই সুযোগ ছিল কম। রাত ৯টার
আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
একই চিত্র ছিল মহানগরীর
বৃহৎ বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিলেরও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এই এলাকায় কোনও
আয়োজন চোখে না পড়লেও বাসার ছাদগুলো বিকল্প উদযাপনের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। নারী-পুরুষ
নির্বিশেষে ছাদে দল বেঁধে ফানুস ওড়ানো, বাজি ফোটানো আর উল্লাসে মেতে ছিল। স্পিকারে
সজোরে বেজেছে গান। সব মিলিয়ে করোনা মহামারির মধ্যেও জীবনের আনন্দ যেন ছুঁয়ে গেছে
নগরবাসীকে।
নতুন বছরকে কেন্দ্র করে
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বিভিন্ন বাসার ছাদে অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠান। ভবনের
বাসিন্দারা সন্ধ্যার পর পর জড়ো হতে শুরু করেন ছাদে। বহুদিন পর যেন এক মিলনমেলায়
পরিণত হয় রাজধানীর অলিগলি, পাড়া-মহল্লা। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে রাত
বারোটার পর থেকে শুরু হয় ফানুস ওড়ানো।
তবে, নগরবাসীর আনন্দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সতর্ক ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ‘ইংরেজি নববর্ষকে কেন্দ্র করে কয়েক ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে রাজধানীজুড়ে। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে মোতায়েন রয়েছে।’
অর্ণব