প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২, ০৩:১২ এএম
স্বাগত ২০২২। করোনার পর ওমিক্রন নিয়ে শুরু হবে
নতুন এই বছর। কষ্ট আর কান্নার কথা নয়, আমাদের এ বছর হবে আশা আর স্বপ্ন পূরণের
বছর। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হবে উন্নয়নের নতুন
পথযাত্রা। বাংলাদেশের প্রতিটি শহর-বন্দর হয়ে উঠবে আরও অত্যাধুনিক। গ্রামে আসবে
আধুনিকতার ছোঁয়া। কাঁচা সড়কগুলো ইটে মুড়িয়ে দেয়ার কাজ আরও বেগবান হবে।
করোনাকে আমরা জয় করেছি। ২০২২ সালে মুখের মাস্ক খুলে শান্তির নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ হবে। এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার দিন। ২০২২ সেই স্বপ্নীল পথই দেখাবে এমন আশা রাখি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে। উল্লাস আর আনন্দে শিক্ষার্থীরা নতুনভাবে পড়ায় মনোনিবেশ করবে।
আমরা বীরের জাতি। লাঠি-বৈঠা দিয়েই শত্রুমুক্ত করেছি বাংলাদেশ। পোড়ামাটিকে জীবিত করে ফলিয়েছি সোনার ফসল। ৫০ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিদিন বাংলাদেশ দেখছে উন্নয়নের মুখ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, আকাশপথে নতুন বিমানের বহর। মেট্রোরেলের কাজও আরও সংক্ষিপ্ত হয়ে আসবে। আগামীতে গড়ে উঠবে নতুন শহর পূর্বাচল। ১১১ তলা টাওয়ার, ৫২ ও ৭১ নামে দুটি টাওয়ার নির্মিত হবে। স্টেডিয়াম হবে বিশালাকার। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় নির্মিত হয়েছে স্টেডিয়াম। সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়ায় ব্যাপক সাফল্য এসেছে। ক্রিকেট বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে বিশ্বের কাছে অনন্য রূপে।
বাংলাদেশে এখন সন্ত্রাসী নেই। সন্ত্রাস নেই। বিভিন্ন দেশে বাংলার ছেলেরা সুনাম কুড়াচ্ছে তাদের মেধা দিয়ে। ২০২২ আরও বেশি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারবে এমন আশা রাখি। আমাদের চেষ্টা এবং মেধায় ২০২২ এনে দেবে স্বর্ণযুগ, যা দিয়ে আমরা হব বিশ্বের সেরা একটি দেশ- এমন প্রত্যাশা আমাদের। সবকিছু ভুলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে আরও একধাপ এগিয়ে যাবো, এমন আশা রাখি আজ। ২০২১ তোমাকে বিদায়। নতুন অতিথি স্বাগতম ২০২২। সারা দেশের মানুষ সুখের শহরে পৌঁছবে, এমন প্রত্যাশা করে ‘সিটি নিউজ ঢাকা’।
জেডআই/এম. জামান