প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৭:১৬ পিএম
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে দেশে এক ব্যক্তি (৫৬) সংক্রমিত হয়েছেন। গত
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংক্রমিত ব্যক্তি
একজন পুরুষ। তিনি এখন ঢাকায় আছেন। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে জিআইএসএআইডির
ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে নতুন সংক্রমিত ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো
তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে বাংলাদেশে প্রথম জিম্বাবুয়ে ফেরত দুজন খেলোয়াড় থেকে ওমিক্রন শনাক্ত
হয়েছিল। এবার দেশে এক ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন। অবশ্য ওমিক্রন আক্রান্ত ওই দুজন
খেলোয়াড় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি) এই নমুনা সংগ্রহ ও এ–সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়েছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও
গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এর আগে দুই ব্যক্তির ওমিক্রন শনাক্তের
তথ্য জানিয়েছি। তৃতীয় ব্যক্তির ওমিক্রন শনাক্তের বিষয়টি আইদেশি করেছে।’
বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রন শনাক্তের ক্ষেত্রে এখন সিকোয়েন্সিংয়ের চেয়েও নির্দিষ্ট
পিসিআর কিটের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন। জৈব তথ্য বিশ্লেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম
বলেন, ‘সিকোয়েন্সিং কিছুটা
সময়সাপেক্ষ। পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমেও তাৎক্ষণিকভাবে অমিক্রন শনাক্ত করা সম্ভব।’
যুক্তরাজ্য ও পৃথিবীর অন্য সব দেশই ওমিক্রন ধরন নিয়ে তাৎক্ষণিক নজরদারির জন্য
সুনির্দিষ্ট কিছু পিসিআর কিট ব্যবহার করছে। তবে এই কিটে তিনটি জিনের মধ্যে ‘এস’
জিনের উপস্থিতি ধরা পড়ে না, যেটি ডেল্টা থেকে
ওমিক্রনকে আলাদা করতে সহায়তা করে। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত করতে এবং ভাইরাসটির
পরিবর্তন ও ছড়ানোর গতিপথ নজরদারির জন্য সিকোয়েন্সিং করতেই হবে।