প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২১, ১২:২২ এএম
ঝালকাঠির
সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪১ জন মারা গেছেন বলে
জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন
মিয়া।
শনিবার
(২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে
রোগীদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখার পর এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি
বলেন, ‘এ অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬
জনের চিকিৎসা চলছে। ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
তিনি
আরও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে ২১ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয়
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ৪ জনকে চিকিৎসা
দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন ১৫ জনের চিকিৎসা চলছে। দুইজনকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে।
একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর একজনের মৃত্যু হয়েছে।’
এই
কর্মকর্তা বলেন, ‘আহতদের মধ্যে ৩২ জনের চিকিৎসা চলছে বরিশালে। ৭ সদস্যের চিকিৎসক টিম
পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমরা মনিটরিং করছি।’
তিনি
বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়েছেন। আহতদের
সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসার খরচ বহন করা
হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থাও হাসপাতালের পক্ষ থেকে করা হবে।’
এর
আগে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া ব্রিফিংয়ে ৩০ জনের মরদেহ
উদ্ধারের কথা জানান। পরে ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে ৩৯
জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুপুর
পৌনে ১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারজিয়া
আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়ায়।
এদিকে,
ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনার পর হাবিব
খান নামে একজনের মৃত্যু হয়, যা নিয়ে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে
৪১ জনে। মৃতদের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য,
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০-এ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর)
দিবাগত রাতে আগুন লাগে। লঞ্চটি রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে
ইঞ্জিনরুমে লাগা আগুন মুহূর্তেই পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল
এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে
গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নূর/এএমকে/ডা