প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে আরো ৬০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে ১৬ নভেম্বর সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা দুই মাস শেষ হওয়া তা আবারও বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাগণকে (কোস্টগার্ড ও বিজিবি-তে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা এ ক্ষমতা পাবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সম্প্রতি শেষ হয় সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগের নির্ধারিত সেই সময়। এরপর আজকের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আবারও ২ মাসের জন্য বিচারিক ক্ষমতা পেল সশস্ত্র বাহিনী।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সেনাবাহিনীকে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছিল, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা এ ক্ষমতা পান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারাদেশে সেনা মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে পদচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যত্থানে আওয়ামী লীগের পতন হলে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনও সারাদেশে সেনা মোতায়েন আছে।
