প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২১, ০৯:২১ পিএম
করোনাভাইরাসের
নতুন ধরন ওমিক্রন ইস্যুতে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটের আয়োজন সীমিত পরিসরে করার
নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার,
মহানগর
পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক,
পুলিশ
সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে একটি চিঠি
দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা
হয়েছে, ‘প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং
ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করাই যৌক্তিক হবে।’
এতে বলা হয়েছে,
প্রতি
বছর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘শুভ বড়দিন’ ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ
মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনায়
পালিত হয়। সেই সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষেও
বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অতিমারী
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ
অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। এই
ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয়
অনুষ্ঠান সীমিত করে পালিত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে
বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরের আয়োজন সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে
স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ‘কঠোর নজরদারি’ অব্যাহত রাখতে
এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে আরও বলা
হয়েছে, প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও
মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
খ্রিস্টান
ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন ২৫ মার্চ। আর তার এক সপ্তাহের মাথায় ৩১
ডিসেম্বর রাতে বর্ষবরণের উৎসব। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরও এ দুই আয়োজনে
বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল। এবার বাংলাদেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে
রয়েছে। গত কয়েক মাসে জীবনযাত্রা প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
তবে
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে
দ্রুত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ওমিক্রন, ফলে এ নিয়ে
উদ্বেগ রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে ইতোমধ্যে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
নির্দেশনায় সব
ধরনের (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও
অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা; পর্যটন স্থান, বিনোদন
কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি
সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে
(বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন,
পিকনিক
পার্টি ইত্যাদি) লোক সমাগম ধারণক্ষমতার অর্ধেকের মধ্যে রাখা এবং রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম আসনে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।
এস/ডা