প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২১, ০৭:১৭ এএম
রাজধানীর গুলশানে মধ্যরাতে বেপরোয়া গতিতে বিএমডব্লিউ হাঁকিয়ে নারী পুলিশ সার্জেন্টের বাবা ও বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজংকে চাপা দেয়ার ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবশেষে মামলা নিয়েছে রাজধানীর বনানী থানা পুলিশ। মনোরঞ্জন হাজংয়ের মেয়ে মহুয়া হাজং বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পরই আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিল। আমরা যাচাই করে মামলা নিয়েছি। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে, গাড়িটি কে চালাচ্ছিলেন, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ২টার পর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী মনোরঞ্জন হাজংকে চাপা দেয় একটি বিএমডব্লিউ। সে সময় গাড়িতে ছিলেন এক নারীসহ তিনজন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এক বিচারপতির ছেলে সাইফ হাসান। পরবর্তীতে পথচারীরা গাড়ির ড্রাইভার ও গাড়িটিকে আটক করে পুলিশে দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বিচারপতির ছেলে ও তার বন্ধুদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। আর আহত মনোরঞ্জনকে পাঠানো হয় পঙ্গু হাসপাতালে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির ইউলুপের পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন মনোরঞ্জন। এ সময় হঠাৎ একটি প্রাইভেট কার এসে তাকে চাপা দেয়। এতে কোমরের নিচের অংশ থেঁতলে যায় তার। হাসপাতালে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বিজিবির সাবেক হাবিলদার মনোরঞ্জন হাজং। কেটে ফেলা হয়েছে তার একটি পা। ঘটনার আগের দিন করেছিলেন হার্ট অ্যাটাক। বর্তমানে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজং তিন দফায় মামলা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘটনার ১৪ দিনেও তার মামলা করতে পারেননি। তার অভিযোগ, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় তার অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে দ্রুততার সঙ্গে মামলা গ্রহণ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানায় মানবাধিকার ও নাগরিক সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
এআরআই/ডা