প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২১, ১০:৫৭ পিএম
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে মৃত্যু ও শনাক্ত
খানিকটা বেড়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা
গেছেন। এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৮ জনে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এক দিনে মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। একজন করে মারা গেছেন ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৭ জন। এর ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৩০২ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৬৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৩১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ১৫৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ; মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বেশকিছু দিন দুই শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০-এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০-এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো গেল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
জেডআই/এম. জামান