• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

‘টিকা সনদ ছাড়া মুরাদের চলে যাওয়ার দায় স্বাস্থ্য বিভাগের’

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১, ১২:৩৮ এএম

‘টিকা সনদ ছাড়া মুরাদের চলে যাওয়ার দায় স্বাস্থ্য বিভাগের’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়েও কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারেননি সদ্য পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। ব্যর্থ হয়ে অবশেষে রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশে ফিরলেন তিনি। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন।

জানা যায়, করোনার ডাবল ডোজ টিকার সনদ না থাকায় মুরাদ হাসান কানাডা ঢুকতে পারেননি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ও কোভিড প্রটোকল না মেনে মুরাদ কীভাবে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কানাডায় গেলেন?

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসানকে প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকেরা।

রোববার বিকেলে বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শন করতে যান। পরিদর্শন শেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনা টিকা সনদ ছাড়া বিমানবন্দর দিয়ে মুরাদ কীভাবে চলে গেলেন তা জবাব দেবে স্বাস্থ্য বিভাগ। অনিয়ম হয়ে থাকলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ সময় শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসানও কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর দিয়ে যেসব যাত্রী বাইরের দেশে যান, সেসব বহির্গমন যাত্রীদের স্বাস্থ্য সনদ চেক করা, ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট চেক করার দায়িত্ব সিভিল অ্যাভিয়েশনের, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। আমরা ইমিগ্রেশন করি, যাত্রীদের সেবা দিই। ইমিগ্রেশন শাখা ইমিগ্রেশন করবে, স্বাস্থ্যের কাজ স্বাস্থ্য করবে। মুরাদ সংক্রান্ত তথ্য জানতে হলে আপনাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে তারা ভালো উত্তর দিতে পারবে।’

ডা. মুরাদের ভ্যাকসিনেশন সনদ ছাড়াই দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি আপনাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম।’

এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট কাজ করে। ইমিগ্রেশনের কাজ করে পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি দেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কোভিড আসার আগেও কিন্তু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি ফরম পূরণ করতে হতো। এসব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এনবিআর কাজ করে কাস্টমসের। এ বিষয়টা যদি আমরা ক্যাব-এর পক্ষ থেকে করতে চাই তাহলে তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। সদ্য অব্যাহতি নেয়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিষয়ে আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন তারা দিতে পারবেন।’

এস/এএমকে/এম. জামান

আর্কাইভ