প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২১, ০৯:২২ পিএম
ডা.
মুরাদ হাসান বিদেশে থাকবেন নাকি স্বদেশে থাকবেন, এটি ওনার
এখতিয়ারের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নাই। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর)
দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান কামাল এ তথ্য জানান।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস, রাষ্ট্রধর্ম, বর্ণবাদ ও খালেদা জিয়ার নাতনীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যর জেরে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ডা. মুরাদ হাসান বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো আমার মনে হয় সব পিএমের সিদ্ধান্ত। এগুলো আমার জানা নেই। উনি বিদেশে থাকবেন নাকি স্বদেশে থাকবেন, এটি ওনার এখতিয়ারের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নাই।’
সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বুধবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসম্বের) ডা. মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।
এদিকে গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে ডা. মুরাদ হাসান পদত্যাগ করেছেন।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জেডআই/এম. জামান