প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ০৫:৩১ পিএম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের
অসৌজন্যমূলক ও বিতর্কিত অডিও-ভিডিও চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আইনজীবীরা। ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে মোট
১৭টি ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসির
আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ভিডিও সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিএনপির চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়ার পরিবারের এক সদস্য সম্পর্কে বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্যে নারী
বিদ্বেষের অভিযোগ ওঠে। এরপর নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁস হয়।
মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের ফোনে কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে
পড়েছে। এ ফোনালাপে তিনি অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন। অশ্লীল ভাষায় মাহিকে তার সঙ্গে
দেখা করার নির্দেশ দেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠিয়ে তুলে আনার হুমকি
দেন মুরাদ হাসান।
এসব ঘটনায় বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে
তার এ ধরনের বক্তব্য ও মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর মঙ্গলবার সকালে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পদত্যাগপত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পাঠান মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিমন্ত্রী পদে মুরাদ হাসানের অব্যাহতির বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।
অর্ণব/ডাকুয়া