প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২১, ০৬:৫৫ পিএম
শীতের শুরুতে বাজারে উঠেছে
নতুন আলু। যা কেজিপ্রতি ৫০ টাকা দরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে
দাম চড়া হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন আলুর
পাশাপাশি বাজারে শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপির সরবরাহ বেড়েছে।
কমেছে ডিম ও মুরগির দাম।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা নতুন আলু কেজিপ্রতি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। কোনো ব্যবসায়ী ৫ কেজি নিলে ১০ টাকা কম রাখছেন। আর পুরনো আলু পূর্বমূল্য ২৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।
নতুন আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. কাদের বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই বাজারে নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে। তবে নতুন আসায় এ আলুর দাম একটু বেশি। কয়েক দিন গেলে দাম কমে যাবে।’
খিলগাঁও গোড়ান বাজারের ব্যবসায়ী মিলন শেখ বলেন, ‘চার-পাঁচ দিন ধরে নতুন আলু বিক্রি করছি। প্রথম দিকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও দুই দিন ধরে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এভাবে সরবরাহ বাড়বে, দামও কমবে।’
তবে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজর কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
শীতকালীন অন্যান্য সবজির তুলনায় আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। গত সপ্তাহের মতো কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। আর আর কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
এছাড়াও বাঁধাকপি, বরবটি, পটোল ও ফুলকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং ফুলকপির পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত দামের তালিকায় থাকা অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা আর মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ফার্মের মুরগির ডিম এখন ৯০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতোই ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায়, একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।
অর্ণব/জেডআই/এম. জামান