নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পল্লবীতে ছেলের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আরেক আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত আসামির নাম মনির। দুদিন আগে বৃহস্পতিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এই মামলার অপর এক আসামি মানিক। প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যে দুজনকে কোপাতে দেখা যায়- মানিক ও মনির সেই দুই ব্যক্তি।
শনিবার (২২ মে) দিবাগত রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মনির নিহত হয়।
ডিবি মিরপুর বিভাগের এডিসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পল্লবী ১২ নম্বর সেক্টরে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মনিরকে ধরতে গেলে সাগুপ্তা হাউজিংয়ের সামনে ডিবির সঙ্গে গোলাগুলি হয় তার। এ সময় গুরুতর আহত হন মনির। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার এস আই বুলবুল বলেন, ‘নিহত মনির পল্লবীর চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলার আসামি। হত্যাকাণ্ডে সে সরাসরি জড়িত ছিল। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের একটি টিম এখন অবস্থান করছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে।’
গত ১৬ মে বিকেল ৪টায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবীর ডি-ব্লকের একটি বাড়ির সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সাহিনুদ্দিনকে হত্যার নির্মম দৃশ্য ধরা পড়ে পাশের একটি ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়- দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন সাহিনুদ্দিনের ঘাড়ে কোপাতে থাকেন মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত।
রাজধানীর পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে সংঘঠিত ওই রোমহর্ষ ঘটনার ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে যে দুজন হামলাকারীকে দেখা গেছে, তারা হলেন আগেরদিন বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানিক ও আজ বন্দুকযুদ্ধে নিহত মনির।
নিহত সাহিনুদ্দীনের মা আকলিমা ১৭ মে পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তিন আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মো. আউয়াল, মো. হাসান ও জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।
সবুজ/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন