প্রকাশিত: মে ২২, ২০২১, ০৯:০৯ পিএম
প্রথম
আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মোবাইল ফোনসেটটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো
হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা
পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার
(ডিসি) আজিমুল হক।
শনিবার
(২২ মে) এসব তথ্য
গণমাধ্যমকে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন,
‘ইতোমধ্যে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার তদন্তের কাজ শুরু করেছে
গোয়েন্দা পুলিশ। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে মামলার
তদন্ত চলবে।’ তদন্ত শেষ করার পর
প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে
বলেও জানান তিনি।
উপকমিশনার
(ডিসি) আজিমুল হক আরো বলেন,
‘তদন্তের শুরুতেই মামলার সব নথিপত্র ও
জব্দ হওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। তদন্তে
অধিকতর তথ্যের জন্য রোজিনা ইসলামের
জব্দ হওয়া ফোনগুলো পরীক্ষার
জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই সেগুলো ফরেনসিকে পাঠানো হবে।’
সাংবাদিকদের
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা
তার ফোনটি ফরেনসিক বিভাগে পাঠাচ্ছি। এটা শুধু সুষ্ঠু
তদন্তের স্বার্থে। আমাদের যা যা করা
প্রয়োজন তাই করব। সচিবালয়
থেকে ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে ডিবি।’
রোজিনার
মামলার বিষয়ে ডিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,
প্রয়োজন হলে আসামি ছাড়া
আরও লোকজনকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি। ডিবির
তদন্তে সবকিছু যেন পরিষ্কার ও
নির্ভুলভাবে উঠে আসে, সে
লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন
তদন্তকারী কর্মকর্তারা। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে নথি চুরি ও
ছবি তোলার যে অভিযোগ রয়েছে,
বিষয়টি সত্য কি না
তাও খতিয়ে দেখছে ডিবি।
গত
১৭ মে দুপুরের পর
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ের যান
রোজিনা ইসলাম। এরপর গোপন নথি
চুরির অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে
৫ ঘণ্টা আটকে রাখেন। রাত
৯টার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ
থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা
হয়। পরে রাত পৌনে
১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে
শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলার
বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
পরদিন
সকালে রোজিনাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ
সময় তার রিমান্ডের আবেদন
জানালেও আদালত তা নামঞ্জুর করে
রোজিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন
তার জামিন আবেদনও করা হয়েছিল, যার
শুনানি বৃহস্পতিবার হলেও আদেশ দেয়ার
জন্য আগামী রোববার (২৩ মে) দিন
নির্ধারণ করেন আদালত।
লাইজুল/জেডসি/এম. জামান