প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১, ০২:০৫ এএম
রাজধানীর
আদাবরে একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন বোন যশোরে তাদের বাবার কাছে আছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) তিন বোনের নিখোঁজের তথ্য পাওয়ার পর থেকেই আমাদের অপারেশন চালু ছিল। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আমরা জানতে পেরেছি যে, তাদের অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য তারা খালার বাসা থেকে না বলে বের হয়ে যশোরে তার বাবার বাড়িতে গিয়েছে। তাদের এই না বলে চলে যাওয়াটা একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে যে, তারা কোনো বিপদে পড়েছে কিনা।’
তাদের খালা নির্যাতন করত কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না এরকম কোনো কিছু না। তারা মূলত অসুস্থ বাবাকে দেখতেই যশোর গিয়েছে। তাদের সঙ্গে সরাসরি এখনও কথা হয় নাই। এই তিন বোন, তাদের বাবা ও চাচার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছি। তারা ভালো আছে। এই তিন বোনের মা মারা যাওয়ার পরে তারা ঢাকায় খালার বাসায় থাকে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে তিন বোন রোকেয়া (১৮), জয়নব আরা (১৭) এবং খাদিজা আরা (১৬) নিখোঁজ হয়। পরে তাদের খালা সাজেদা নওরীন ওই দিন রাতে আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সাজেদা নওরীন ধারণা করেন, তার তিন ভাগ্নি টিকটকে আসক্ত ছিল বিধায় কারও প্ররোচনায় বাসা হতে বের হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি র্যাব-২ জানতে পারে এবং গণমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-২ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে, ভিকটিমদের অবস্থান যশোরে। এরপর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই র্যাব-২ জানতে পারে ভিকটিমগণ তার পৈত্রিক নিবাস যশোরে বাবার সঙ্গে অবস্থান করছে। র্যাব-২ ভিকটিমদের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও কল করে তাদের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তাদের নিয়ে নিকটাত্মীয়রা উদ্বিগ্ন থাকায় পরবর্তীতে র্যাব-২ ভিকটিমদের অতিদ্রুত নিকটস্থ কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করতে বলে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ভিকটিমদের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর হতে তার খালার সঙ্গে বসবাস করছিল। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে তিন বোন যশোরে তাদের বাবার বাড়িতে দাদির হেফাজতে আছে।
জেডআই/ডাকুয়া