প্রকাশিত: মে ২২, ২০২১, ০৫:১১ পিএম
করোনাভাইরাসের
(কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে
কঠোর বিধিনিষেধ এখনও চলছে। এবার
ঈদযাত্রায়ও বন্ধ ছিল দূরপাল্লার
বাস, লঞ্চ ও ট্রেন।
এ জন্য সীমিত পরিসরে
চলেছে ফেরি ও জেলায়
জেলায় গণপরিবহন। এই সীমিত যান
চলাচলের মধ্যেও কমেনি দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে সড়কে
ঝরেছে তিন শতাধিক প্রাণ।
ঈদযাত্রার
১৪ দিনে সবচেয়ে বেশি
দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে মোটরসাইকেল।
১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩৪
জন। যা মোট নিহতের
৪২.৬৭ শতাংশ। দুর্ঘটনার
হার ৫০.৬২ শতাংশ।
রোড
সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) এক প্রতিবেদনে এই
তথ্য উঠে এসেছে। ফাউন্ডেশনের
নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
শনিবার (২২ মে) জানানো
হয়, ঈদুল ফিতরের আগে
ও পরে ১৪ দিনে
(৭-২০ মে) দেশে
সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৩৯টি। এতে নিহত হয়েছেন
৩১৪ জন। আহত হয়েছেন
কমপক্ষে ২৯১ জন। নিহতের
মধ্যে ৪৩ জন নারী
ও ২৮ জন শিশু
রয়েছে।
সাতটি
জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং
ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড
সেফটি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, উল্লেখযোগ্য ছিল পথচারী নিহতের
সংখ্যা। এই ঈদে দুর্ঘটনায়
৭৬ জন পথচারী নিহত
হয়েছেন, যা মোট নিহতের
২৪.২০ শতাংশ। যানবাহনের
চালক ও সহকারী নিহত
হয়েছেন ৩৭ জন। অর্থাৎ
১১.৭৮ শতাংশ।
যাত্রী
অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিবেদনে অবশ্য নিহতের সংখ্যা বলা হয়েছে তিনশ’র কম। সংগঠনের সাধারণ
সম্পাদক মো. সামসুদ্দীন চৌধুরীর
পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ে দেশের
সড়ক-মহাসড়কে ২২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৩
জন নিহত হয়েছেন। আহত
হয়েছেন আরও ৩১৯ জন।
নৌপথে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ফেরিতে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ৫ জন
নিহত ও শতাধিক অসুস্থ
হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোড
সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত যানবাহনের সংখ্যা ৪৩১টি। এর মধ্যে ট্রাক
৬২, বাস ২১, কাভার্ডভ্যান
১২, পিকআপ ২৩, ট্রলি ৭,
ট্রাক্টর ৯, মাইক্রোবাস ২৪,
প্রাইভেট কার ১৬, অ্যাম্বুলেন্স
১, জিপ ১, র্যাবের পিকআপ ১, মোটরসাইকেল ১২৬,
ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-টেম্পো ৮৮, নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়ি ২৯ এবং
প্যাডেল রিকশা, রিকশাভ্যান ও বাইসাইকেল ১১টি।
এরিয়ান/এম. জামান